ঝাড়খণ্ড থেকে এক সোনা ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় ফরাক্কার এক যুবককে আটক করল ঝাড়খণ্ডের পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে বারহেটের সোনা ব্যবসায়ী শিবশক্তি ভকত ওরফে মুন্নাকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। ১৩ জুলাই দুপুরে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফোন করে দু’কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। বিভিন্ন নম্বর থেকে তারা ফোন করছিল। মোবাইলের টাওয়ার থেকে পুলিশ জানতে পারে ফোন করা হয়েছে ঝাড়খণ্ড ও ফরাক্কার বিভিন্ন জায়গা থেকে। এরপর মোবাইলের সিমের মালিক ও কল লিস্ট পরীক্ষা করে দিন তিনেক আগে পুলিশ বারহেট থেকে পাপ্পু গুপ্ত ও অলোক গুপ্ত নামে দু’জনকে গ্রেফতার করে। একটি সিম কার্ড পরীক্ষা করে জানা যায় সেটি ফরাক্কার এক যুবকের। ওই যুবক ফরাক্কায় একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার সিম কার্ড বিক্রি করেন। মঙ্গলবার রাতে ঝাড়খণ্ডের রাঙ্গা থানার পুলিশ ফরাক্কা থেকে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। বুধবার দিনভর তাঁকে ফরাক্কার একাধিক জায়গায় নিয়ে ঘোরে পুলিশ। এ দিন সন্ধ্যেয় ওই যুবককে নিয়ে ফের ফরাক্কা থানায় আসে ঝাড়খণ্ডের পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ, ফরাক্কার আশপাশেই লুকিয়ে রাখা হয়েছে অপহৃত ওই ব্যবসায়ীকে। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের রাজমহল থেকে মাস দেড়েক আগে অপহরণ করে বারহেটে আটকে রাখা হয় অসম গণ পরিষদের এক ব্যবসায়ী নেতাকে। পরে বারহেট থেকে পুলিশ ওই নেতাকে উদ্ধার করে।
সাহেবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ছুটিতে রয়েছেন। জেলার দায়িত্বে থাকা পাকুড়ের পুলিশ সুপার রিচার্ড লাকরা নিজে এই মামলার তদন্তে নেমেছেন। বুধবার তিনিও এসেছেন ফরাক্কায়। এনটিপিসির গঙ্গা ভবনে আছেন তাঁরা। পুলিশ সুপার রিচার্ড লাকরা এই ঘটনা নিয়ে ‘তদন্তের স্বার্থে’ সাংবাদিকদের কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেছেন। তবে ঝাড়খণ্ড পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে রাজমহলের পঞ্চানন ঘাট থেকে আরও দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তারা নৌকা করে পালাচ্ছিল বলে পুলিশের দাবি। তাদের রাধানগর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy