সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে ২৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জন প্রতিনিধি যোগ গিলেন তৃণমূলে। শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের হাতে তৃণমূলের ঝাণ্ডা তুলে দেন কালীগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিষদীয় সচিব নাসিরুদ্দিন আহমেদ। এদিন দলত্যাগ উপলক্ষে কালীগঞ্জে যান জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। ওই বিধানসভা কেন্দ্রের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সিপিএমের শুভ্রা দে সরকার-সহ সিপিএমের আরও পাঁচ জন সদস্য শাসকদলে নাম লেখান। দলবদল করেন ওই পঞ্চায়েতের একজন বিজেপি সদস্যও।
২৫ সদস্যের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের দখল ছিল সিপিএমের। তৃণমূলের আসন সংখ্যা ছিল ৭। এখন তা বেড়ে হল ১৩। ফলে ওই পঞ্চায়েত শাসকদলের হাতে আসা এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র। একইভাবে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট বড় চাঁদঘর পঞ্চায়েতের সিপিএম দলনেতা হুমায়ুন শেখের নেতৃত্বে ৬ জন সদস্য এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। ওই পঞ্চায়েতে আগে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ছিল ৯। অন্য দিকে ১৪ আসন বিশিষ্ট পলাশী-১ পঞ্চায়েতে ৪ জন বাম সদস্য এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন। এই পঞ্চায়েতে আগে তৃণমূলের আসন ছিল ৪।
একই ভাবে ১৯ আসনের পানিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের মুজিবর শেখ-সহ আট কংগ্রেস সদস্য এ দিন তৃণমূলে নাম লেখান। দলবদলের আগে ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা ছিল ৪। এখন বেড়ে দাঁড়াল ১২। ফলে পানিঘাটা পঞ্চায়েতও অচিরেই দখল করবে শাসক দল।
বিরোধীদের এই ভাঙনে উচ্ছ্বসিত নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘এলাকায় আর বিরোধী বলে কিছু অবশিষ্ট রইল না।’’ সিপিএম-র কালীগঞ্জ জোনাল কমিটির সম্পাদক অবশ্য বলেন, ‘‘দলত্যাগীরা নিজেদের স্বার্থে শাসক দলে গিয়েছেন। এতে আমাদের সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
অন্য দিকে পড়শি জেলা মুশির্র্দাবাদে সিপিএমের শতাধিক কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিলেন। নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে গোয়ালজান-নিয়াল্লিশপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার ওই কর্মী-সমর্থকরা রবিবার বহরমপুরের জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হেনা তাঁদের হাতে কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন। পরে তাঁরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখাও করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy