নতুন প্রজন্মের ভোটারদের প্রভাবিত করতে মরিয়া সব দল। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে এদের কেউ বা ভোটার তালিকা থেকে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের আলাদা করে চিহ্নিত করছেন। তারপরে নানা ভাবে তাদের কাছে পাঠাচ্ছেন দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলির নেতা কর্মীদের। কেউ সাহায্য নিচ্ছেন ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার। বিজেপি কর্মীরা কলেজের সামনে গিয়ে মরেন্দ্র মোদীর মুখোশ পড়ে লিফলেট বিলি করছেন।
নদিয়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৫১ শতাংশ। ১৮-১৯ বছর বয়সী ভোটারদের সংখ্যা প্রায় ৩.৫ শতাংশ। যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, আর এই বয়সের ভোটাররাই যে এ বার প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। এই ভোটারদের বড় অংশ কলেজ ছাত্র। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, এই অংশের ভোটারদের মধ্যে তাদের প্রভাব বেশি, কারণ সংগঠনের জেলা সভাপতি অয়ন দত্ত বলেন, “জেলার ১৭টি কলেজের সবক’টিই আমাদের দখলে। বিরোধীরা কলেজগুলিতে প্রার্থী খুঁজে পায়নি।” তাঁর মতে, “লোকসভা ভোটের আগে জেলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভোট ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন। যেখানে নতুন ভোটারদের মনোভাব সব থেকে ভাল ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাই কলেজ নির্বাচনে আমাদের সাফল্য থেকে বুঝতে পারছি, জেলার নতুন ভোটাররা আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন।”
কলেজ ভোটের ফলাফলের নিরিখে তৃণমূল আত্মবিশ্বাসী হলেও তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ এসএফআই। সংগঠনের জেলা সভাপতি কৌশিক দত্ত বলেন, “কলেজ ভোটের ফলাফলে ছাত্র সমাজের মতামত কখনওই প্রতিফলিত হতে পারে না। যারা সেটা ভাবছেন তাঁরা মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। কারণ এবার নির্বাচনে কলেজগুলোতে সন্ত্রাস করে তৃণমূল বিরোধীদের প্রার্থী দিতেই দেয়নি।” তাঁর দাবি, “দু’টি কলেজে শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারলেও নির্বাচন করতে দেয়নি তৃণমূল। মাজদিয়া কলেজ তার জ্বলন্ত উদাহরণ।” তিনি বলেন, “কলেজগুলিতে ভোট হলে যে অন্য রকম ফল হত, তা সকলের কাছে জলের মতোই পরিষ্কার। আর ভোট না হওয়ায়, চোখের সামনে সন্ত্রাস হতে দেখে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। তাঁরা এবার সেই ক্ষোভ উগরে দিতে আমাদের সঙ্গেই থাকবেন।”