মিড ডে মিল নিয়ে রাজনৈতিক কাজিয়ায় বছর চারেক ধরে মধুপুর-ড্রাইভারপাড়া শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের উনুনই জ্বলেনি। মিড ডে না মিললেও যুযুধান দুই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে বার চারেক মারপিঠ হয়েছে। বিবাদ গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। লালগোলার রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুপুর-ড্রাইভারপাড়ার যুযুধান ৬টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের প্রশাসন একাধিক বার বৈঠক করলেও কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি। মাস পাঁচেক ধরে পড়ে থাকা ৪ কুইন্টাল চালে পচন শুরু হয়েছে।
২০০২ সালের ২ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার পর ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের পড়ুয়াদের মিড ডে মিল হিসেবে শুকনো খাবার দেওয়া হত। ২০১০ সালের ১৭ নভেম্বর বিডিও-র নির্দেশে চালু হয় মিড ডে মিল। ওই শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধান সহায়ক, অর্থ্যাৎ প্রধান শিক্ষক জেকের আলি বলেন, “বিডিও মিড ডে মিলের রান্নার জন্য ‘রুবিনা স্বনির্ভর গোষ্ঠী’কে নিয়োগ করেন। রান্নার উপকরণ কেনার জন্য ২১,৬০০ টাকা দেওয়াও হয়।”
রুবিনা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রী সীমা বিবি বলেন, “দলবল নিয়ে তেড়ে আসেন গ্রামেরই ‘যমুনা স্বনির্ভর গোষ্ঠী’র সভানেত্রী সাহানাজ বিবি। আমাদের মারধর করে। সেই থেকেই বন্ধ রান্না।” প্রধান শিক্ষকের কথায়, “ওই ঘটনার পর মিড ডে মিল বন্ধ হয়। পুরনো বিডিও বদলি হয়েছেন। নতুন বিডিও ফের মিড ডে মিল রান্নার নির্দেশ দেন। গত ২৫ মার্চ ৪ কুইন্টাল চাল মেলে। সব্জি-সহ রান্নার উপকরণ কেনার জন্য মেলে ১৯৬৬০ টাকা।” সীমা বিবি বলেন, “কিন্তু অভিজ্ঞতার কথা ভেবে বিডিও এবং ওসি ৬টি গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে গত ১৮ জুলাই বৈঠক করেন। রুবিনা গোষ্ঠী মিড ডে মিল রান্না করবে বলে বৈঠকে তাঁরা নির্দেশ দেন।”