শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞাপন দেওয়াটাই বাকি ছিল!
থানা-পুলিশ-সালিশি-আইনজীবীর পরামর্শ কিছুই বাদ রাখেননি নিমতিতার রেলগেটপাড়ার বাসিন্দা প্রবীরকুমার দাস। শেষতক ঘরের প্রাণী ঘরে ফেরায় হাসছেন প্রবীরবাবু, “এত দৌড়ঝাঁপ করে কালুকে যে ফিরে পেলাম, সেটাই সবথেকে বড় কথা। বাপরে বাপ, যা গেল এ ক’দিন!” আর কালু? দিনকয়েকের ‘অ্যাডভেঞ্চার’ সেরে বাড়ি ফিরে পঞ্চ পাণ্ডবের পঞ্চুর কায়দায় লেজ নাড়ছে। আর চেনা আস্তানায় ঘুরঘুর করতে করতে মাঝেমধ্যেই আড়মোড়া ভেঙে ডেকে উঠছে—ভৌ...।
বছর খানেক আগে জামালপুরের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে কুচকুচে কালো রঙের নেড়িটা মনে ধরেছিল প্রবীরবাবুর। বাড়িতে নিয়ে এসে গায়ের রং দেখে তিনি নামও রেখেছিলেন--কালু। তারপর থেকে কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে আর কালুকে নিয়েই দিব্যি দিন কাটছিল বিপত্নীক প্রবীরবাবুর। অঘটনটা ঘটল ২৭ অগস্ট। রোজ দিনের মতো রাত ন’টা নাগাদ কালুকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তারপর এক দোকানে কালুকে রেখে তিনি গিয়েছিলেন অরঙ্গাবাদে। ঘণ্টাখানেক পরে ফিরে এসে তিনি দেখেন কালু সেখানে নেই। পাঁচ দিন ধরে নানা জায়গায় খোঁজ করে কালুর কোনও সন্ধান না পেয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।