Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

অ্যাডমিট না আসায় বিপাকে ৪২ পরীক্ষার্থী

স্কুলের তরফে সদুত্তর না পেয়ে হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকেরা। পরে তাঁরা স্থানীয় বিডিও’র কাছে এ নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৯
Share: Save:

স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মঙ্গলবারও অ্যাডমিট কার্ড হাতে পায়নি খড়গ্রামের মাড়গ্রাম হাই স্কুলের ৪২ জন পড়ুয়া। ফলে এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় তারা বসতে পারল না। গত বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি ওই ৪২ জন। এ বার মাধ্যমিকে বসার জন্য তারা নির্দিষ্ট সময়েই স্কুলে নথিপত্র জমা দিয়েছিল। রেজিস্ট্রেশনও হয়ে গিয়েছিল তাদের। অভিযোগ, ২ ফেব্রুয়ারি অ্যাডমিট দেওয়ার দিন ছিল। তারা স্কুলে গিয়ে জানতে পারে, তারা ছাড়া বাকিদের অ্যাডমিট চলে এসেছে। তারা প্রধান শিক্ষক জ্যোতির্ময় বসুর কাছে এর কারণ জানতে চাইলে তিনি চিন্তা করতে বারণ করেন। শম্পা হালদারের কথায়, ‘‘সোমবারেও অ্যাডমিট আসেনি। আজ সকালে স্কুলে গিয়ে স্যরের দেখা পাইনি।’’

স্কুলের তরফে সদুত্তর না পেয়ে হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকেরা। পরে তাঁরা স্থানীয় বিডিও’র কাছে এ নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়। খড়গ্রামের বিডিও সৌরভ ধল্ল পরে বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা মেনে নেওয়া যায় না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানাব। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জ্যোতির্ময় বসু অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “ওই পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট না পেয়ে মাধ্যমিকে বসতে পারল না। এ জন্য আমিই দায়ী।’’

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, ওই প্রধান শিক্ষককে ইতিমধ্যেই কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস বলেন, “ওই প্রধান শিক্ষক আগে আমাদের যদি জানাতেন তবু কিছু করা যেত। আমি সোমবার রাতে গোটা ঘটনা জানার পর প্রধান শিক্ষককে ফোন করি। রাতে বহু চেষ্টা করি। কিন্তু ওই ৪২ জন পরীক্ষার্থীর কোন নথিই প্রধান শিক্ষক পাঠাননি। এমন অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Madhyamik Pariksha Admit Card
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE