Advertisement
E-Paper

জোট করেই বাঁচার যুদ্ধ নিচুতলায়

তৃণমূলের অভিযোগ, তেহট্ট মহকুমা ও কল্যাণীর বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি হাত মিলিয়েছে। প্রকাশ্যে না হলেও করিমপুর ও তেহট্টের অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতেই এমন ‘অনৈতিক জোট’ হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৮ ১১:৩২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অর্ধেকের বেশি আসনে প্রার্থীই দিতে পারেনি বিরোধীরা। যতটুকু পারা গিয়েছে, সেটুকুতে লড়াই দিতে নানা এলাকায় তলায়-তলায় জোট হচ্ছে। বিরোধী নেতারাও বলছেন, বাঁচতে গেলে জোট বাঁধতেই হবে।

তৃণমূলের অভিযোগ, তেহট্ট মহকুমা ও কল্যাণীর বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেস, সিপিএম এবং বিজেপি হাত মিলিয়েছে। প্রকাশ্যে না হলেও করিমপুর ও তেহট্টের অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতেই এমন ‘অনৈতিক জোট’ হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। যদিও বিজেপি ও সিপিএম নেতারা তা অস্বীকার করেছেন। হোগলবেড়িয়ার যমশেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী হন সুমিত্রা মণ্ডল। বিজেপি প্রার্থী দেয়নি। সুমিত্রার দাবি, “শাসক দলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কর্মী ও মানুষ একজোট। গ্রাম সংসদ আসনে বিজেপি আমায় সমর্থন করছে, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদে বিজেপিকে সমর্থন করবে সিপিএম।”

বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী অজিতা রায়ের দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতেই বিজেপি ও সিপিএমের নিচু স্তরের কর্মীরা এই জোট করেছেন। সিপিএমের তেহট্ট এরিয়া সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজনীতিতে তৃণমূল ও বিজেপি সমান ভয়ঙ্কর। বিজেপির সাথে সিপিএমের জোট দল অনুমোদন করে না। নিচু তলার কর্মীরা কোথায় কী জোট করছেন, তা জানা নেই।’’ একই কথা বলেন বিজেপির নদিয়া জেলা কমিটির সদস্য অর্জুন বিশ্বাসও। তৃণমূলের করিমপুর ১ ব্লক সভাপতি তরুণ সাহা ও তেহট্ট ১ ব্লক কার্যকরী সভাপতি দিলীপ পোদ্দারের দাবি, ‘অনৈতিক জোট’ মানুষ বর্জন করবে। হরিণঘাটায় কংগ্রেস লড়ছে না। অনেক সক্রিয় কর্মী এতে হতাশ। তাঁদের একাংশ বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন। নগরউখরা-১, কাষ্ঠডাঙা-১ পঞ্চায়েতে এমন কয়েক জন সক্রিয় কংগ্রেস কর্মী বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। ব্লক তৃণমূল সভাপতি চঞ্চল দেবনাথ বলেন, ‘‘কংগ্রেস পায়ের তলায় মাটি হারিয়ে বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করছে।’’

সুতি-১ ব্লক ও ফরাক্কায় কংগ্রেস ও সিপিএমের নিচুতলায় কর্মীদের মধ্যে যে বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট। ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক বলেন, “তৃণমূলকে রুখতে এ ছাড়া পথ নেই।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু তাহের বলেন, “শাসক দলের বিরুদ্ধে টিকে থাকার লড়াইয়ে নিচুতলায় যে যার সঙ্গে দরকার হাত মেলাচ্ছে। এতে আপত্তির কিছু নেই। বিপন্ন গণতন্ত্রকে তো আগে রক্ষা করতে হবে!” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলের হামলা যত বাড়বে তা প্রতিহত করার জন্য মানুষ তত জোটবদ্ধ হবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষের দাবি, “সিপিএম বা কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের জোট নেই। কোথাও মানুষ হয়তো জোট গড়ে তৃণমূলকে রুখতে চাইছে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুব্রত সাহার মতে, “নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, জোট বেঁধে লড়াই দেওয়ার শেষ চেষ্টা করবে বিরোধীরা। বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস এক হলেও অবাক হব না। কিন্তু লাভ হবে না।”

West Bengal Panchayat Elections 2018 West Bengal Panchayat Elections 2018
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy