Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
ছাত্রের মৃত্যু

আত্মঘাতী না জোর করে বিষ, রহস্য রইলই

তাদের ‘সম্পর্ক’টা জানাজানি হয়ে গিয়েছিল দিন কয়েক আগে।নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাবা তাই তলব করেছিলেন এক ক্লাশ উঁচুতে পড়া টিটু দাসকে (১৬)। বাড়িতে ডেকে বকাঝকার পরে ঠাস করে কষিয়ে দিয়েছিলেন চড়ও। অপমানিত কিশোর বাড়ি গিয়ে খেয়ে ফেলেন কীটনাশক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৬ ০০:৩৯
Share: Save:

তাদের ‘সম্পর্ক’টা জানাজানি হয়ে গিয়েছিল দিন কয়েক আগে।

নবম শ্রেণির ছাত্রীর বাবা তাই তলব করেছিলেন এক ক্লাশ উঁচুতে পড়া টিটু দাসকে (১৬)। বাড়িতে ডেকে বকাঝকার পরে ঠাস করে কষিয়ে দিয়েছিলেন চড়ও। অপমানিত কিশোর বাড়ি গিয়ে খেয়ে ফেলেন কীটনাশক। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় সে।

তবে, ওই ছাত্রের পরিবারের দাবি, বিষটা ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজনই জোর করে ধরে-বেঁধে খাইয়ে দিয়েছিল টিটুকে। কিশোরের বাড়ির অভিযোগ পেয়ে ওই ছাত্রীকে থানায় তুলে আনে পুলিশ। আজ, রবিবার তার গোপন জবানবহন্দি নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

টিটুর বাড়ি বর্ধমানের পূর্বস্থলির কুকসিমিলা গ্রামে। নাকাশিপাড়ার যগপুরে এক আত্মীয় বাড়িতে থেকে বেথুয়াডহরি চকহাতিশালা হাইস্কুলে পড়াশুনা করছিল সে।

ওই ছাত্রের বন্ধুবান্ধবেরা জানিয়েছে, ওই ছাত্রীটির সঙ্গে বেশ কয়েক বার দেখা গিয়েছে টিটুকে। দিন কয়েক আগে তার হাত ধরেও টানাটানি করেছিল টিটু। সে কথা কানে যেতেই বাড়িতে ডেকে টিটুকে বকাঝকা করা হয়েছিল।

নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) তন্ময় সরকার বলেন, “মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে।” তবে, জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘অভিযোগ করলেও আপাত ভাবে মনে হয়, ওই কিশোর কীটনাশক খেয়ে নিজেই আত্মঘাতী হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই এ ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা করা যাবে।’’

তবে, নিতান্তই নাবালিকা ওই ছাত্রীকে পুলিশ থানায় তুলে আনল কোন আইনে? তন্ময়বাবু জানান, নিরাপত্তার কারণেই ওই ছাত্রীকে থানায় আনা ওর কাছে ঘটনাটা শুনেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’’

ওই ছাত্রের এক আত্মীয়া বলেন, ‘‘শুক্রবার সকালে টিটু একটা ফোন পেয়ে বেরিয়ে যায়। ঘন্টাদুয়েক পরে টিটুকে ওই ছাত্রীর বাবা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। তখনই দেখি ও বেশ অসুস্থ।’’ ছেলে অসুস্থ শুনে শুক্রবার, সকালে টিটুর বাবা বাবা পঙ্কজ দাস এবং মা প্রতিমাদেবী যুগপুরে আসেন। প্রতিমাদেবী বলেন, ‘‘ছেলের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ওকে খুন করা হয়েছে।’’ ওই ছাত্রী অবশ্য এ দিন জানায়, টিটুর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক ছিল না। একই গৃহশিক্ষকের কাছে অন্যদের মতো টিউশন পড়ত, এইটুকুই। কিশোরী বলেন, ‘‘সেখানে আমাকে উত্যক্ত করত টিটু। বৃহস্পতিবার টিউশনে গেলে টিটু আমার হাত ধরে টানাটানি করছিল। সেটা বাড়িতে বলেছিলাম। তাতেই বাবা ওকে ডেকে বকাঝকা করেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Students death Poison Police hospital
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE