নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযোগ জানালে কোনও ভাবে অভিযোগকারীর নাম প্রকাশ্যে আসবে না। নির্বাচন কমিশনের সেই আশ্বাসে ভরসা রেখে ‘সমাধান’-এ স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু তারপরেও কী ভাবে তাঁর নাম প্রকাশ্যে এল ভেবে পাচ্ছেন না চাপাড়ার এক সিপিএম কর্মী। তাঁর কথায়, ‘‘মুখে মুখে আমার নাম ফিরছে। প্রাণভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় লাগছে।’’ বিষয়টি নিয়ে সমাধানে ফের অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে সিপিএম সূত্রে জানানো হয়েছে।
সিপিএমের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার চাপড়ার মুসলিম পাড়ায় দেওয়ালে চুন লাগাচ্ছিল এক সিপিএম সমর্থক। পরদিন তাকে জনা চারেক দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। সেই ঘটনার পর কর্মীদের সাহস ফিরিয়ে আনতে শনিবার সকালে স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীরা দেওয়াল লিখন ও অর্থ সংগ্রহে বের হন। তখন নাজমুল হাসান ওরফে নাটা নামে এক দুষ্কৃতী তাদের বাধা দেয়।
ওই ঘটনায় ওই সিপিএম সমর্থক নির্বাচন ‘সমধান-এ অভিযোগ জানান। চাপড়া থানার পুলিশকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। তদন্তে এসে নির্বাচন কমিশনের লোক ও পুলিশ জেরার নামে তাঁকে হয়রান করছেন বলে ওই সিপিএম কর্মীর দাবি। নামও প্রকাশ্যে চলে আসে।
অভিযুক্ত এই নাটার বিরুদ্ধে অবশ্য একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে। একাধিকবার সে জেলও খেটেছে।
চাপড়ার সিপিএম প্রার্থী সামসুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘‘নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগকারীর নাম কোনও ভাবেই প্রকাশ পাবে না। কিন্তু চাপড়ায় তা হচ্ছে না। তদন্তের নামে কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। অভিযোগকারীদের নাম চাউর করে দেওয়া হচ্ছে।’’
জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক বিজয় ভারতী বলেন, ‘‘সমাধানে অভিযোগ জানালে কোনও ভাবেই অভিযোগকারীর নাম জানাজানি হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy