জেলায় তৃণমূলের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। সপ্তাহ খানেক আগে বডঞার কুলির স্কুলের অশান্তিকে কেন্দ্র করে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মান্নান হোসেন। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই বুধবার সেই বড়ঞার সুন্দরপুর পঞ্চায়েত এলাকাতে মান্নানের উপস্থিতিতে ফের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হল। মান্নানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও পরে ফের হাতাহাতি ঘটল। জখম হলেন এক কর্মী। গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়েছে।
বুধবার মান্নান এসেছিলেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। বিকেলে সুন্দরপুরের মজলিশপুর এলাকায় তিনি ত্রাণ বিলি করছিলেন। সুন্দরপুর এলাকার তৃণমূলের নেতা আসমত হক মান্নানের পাশের চেয়ারে বসেছিলেন। সেই সময় বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জালালউদ্দিনের অনুগামী সামানউল্লা আসমতকে চেয়ার ছেড়ে দিতে বলেন। এরপরেই আসমত ও সামানউল্লার মধ্যে মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। মান্নান পরিস্থিতি সামাল দেন।
জালালউদ্দিনের অভিযোগ, পরে সুন্দরপুর মোড় এলাকায় তাঁর গাড়ি আটকে ভাঙচুর করে আসমতের লোকজন। মারধর করা হয় তাঁর অনুগামী জিয়াউর রহমানকেও। জখম জিয়াউরকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জালালউদ্দিনের দাবি, আসমতের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি কংগ্রেসের শিলাদিত্য হালদার ও বড়ঞার বিধায়ক কংগ্রেসের প্রতিমা রজক বন্যা পরিস্থিতি দেখার পরে আসমতের বাড়িতে ভাত খেয়ে এসেছেন। এবং ওঁরাই আমাকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছেন। আসমত অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন।
মান্নান বলেন, “আসমত ও সামানউল্লার দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। আসমত কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে। সামানউল্লাও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে। ওই বিবাদে ছেদ পড়েনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy