মাসুদুর রহমানের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বহরমপুর। স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন অনেকেই।
মুর্শিদাবাদের সঙ্গে মাসুদুরের সাঁতার-জীবনের ছিল নিবিড় যোগ। ‘মুর্শিদাবাদ জেলা সম্তরণ সংস্থা’-র শংসাপত্র ছাড়া এ রাজ্যের সাঁতারুদের ইংলিশ চ্যানেলে নামার ছাড়পত্র পাওয়া বেশ কঠিন। ১৯৯৫ সালে শারীরিক অ-প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে ভাগীরথীতে নেমে দেশের মধ্যে প্রাচীন ও দীর্ঘতম ওই সাঁতার প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে দশম হয়েছিলেন দু’টি পা না থাকা মাসুদুর। জেলায় অনুষ্ঠিত ৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সাঁতার প্রতি়যোগিতা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ৭২ বছরে পড়তে চলেছে।
সেই শংসাপত্রের সুবাদে ইংলিশ চ্যানেল জয়ের লক্ষ্যে সমুদ্রে নামার ছাড়পত্র মিলেছিল তাঁর। ইংলিশ চ্যানেল জয় করার পর তিনি আরও এক বার এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে বহরমপুরে ‘মুর্শিদাবাদ জেলা সম্তরণ সংস্থা’র উদ্যোগে রাজ্যের সাঁতারুদের কোচিং প্রশিক্ষণ শিবির হয়। সেখানে মাসুদুর প্রশিক্ষণও নেন। প্রতিযোগিতা ছাড়াও তিনি বেশ কয়েকবার ৮১ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সাঁতার প্রতি়য়োগিতা অনুষ্ঠানের অতিথি হিসাবে বহরমপুরে এসেছিলেন।