Advertisement
০৫ অক্টোবর ২০২৪
Life Imprisonment

বৌদির সঙ্গে সম্পর্ক করে খুন দাদাকে, মুর্শিদাবাদের যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত

বড় ছেলেকে খুনের অভিযোগে ছোট ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন বাবা সঈদ শেখ। এর পর নারাজুল এবং তাঁর বৌদিকে কান্দি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। একাধিক ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।

Imprisonment

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কান্দি শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৩ ২১:৪৩
Share: Save:

দাদাকে খুনের অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় ঘটনার দু’বছর পরে ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। সোমবার মুর্শিদাবাদের কান্দি দুর্গাপুরের বাসিন্দা ইন্তাজুল শেখকে খুনের অভিযোগে তাঁর ভাই নারাজুলের সাজা ঘোষণা করেন কান্দি সেকেন্ড ফাস্টট্র্যাক কোর্টের বিচারক অমিতাভ মুখোপাধ্যায়। তিনি অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাবাসের নির্দেশ দেন। অন্য দিকে, তথ্যপ্রমাণের অভাবে মৃতের স্ত্রী তনুজা বিবি বেকসুর খালাস পান। তবে বৌদি তনুজার সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই যে দাদাকে খুন করেছিলেন নারাজুল, শুনানি এবং সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

আদালত সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের কান্দির জিবন্তী এলাকার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ইন্তাজুল ও নারাজুল। ইন্তাজুল তাঁর স্ত্রী তনুজাকে গ্রামের বাড়িতে রেখে দীর্ঘ দিন ধরে কাজের সূত্রে সৌদি আরবে ছিলেন। ২০২১ সালের জুন মাসে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফেরেন। তার পরেই শুরু হয় অশান্তি। ২০২১ সালের ১৩ জুলাই রাত ১০টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে বাড়ির সবাই যে যার ঘরে ঘুমোতে যান। ইন্তাজুলকে আচমকা নারাজুল তাঁকে ভোজালি দিয়ে আক্রমণ করেন। পরে মারা যান ইন্তাজুল।

বড় ছেলেকে খুনের অভিযোগে ছোট ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন বাবা সঈদ শেখ। এর পর নারাজুল এবং তাঁর বৌদিকে কান্দি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। দু’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন এবং ৩৪ ধারায় যৌথ ষড়যন্ত্রের অপরাধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। টানা দু’বছরের এই বিচার প্রক্রিয়ায় তদন্তকারী আধিকারিক, মৃতের পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক-সহ বেশ কয়েক জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। সোমবার কান্দি সেকেন্ড ফাস্টট্র্যাক আদালতের দোষী সাব্যস্ত হন মৃতের ভাই।

সরকারি আইনজীবীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রমাণ হয় যে ইন্তাজুল বাড়িতে না থাকার সুযোগে তাঁর ভাই নারাজুল ইন্তাজুলের স্ত্রী তনুজার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু হঠাৎ ইন্তাজুল বাড়ি চলে আসায় তা মেনে নিতে পারেননি দু’জনে। এর পর তাঁরা পরিকল্পনা করে ইন্তাজুলকে খুন করেন। যদিও পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে মুক্তি পান মৃতের স্ত্রী তনুজা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE