শহরের খাগড়া, সৈয়দাবাদ, কুঞ্জঘাটা, হরিবাবুর ঢাল, কল্পনার মোড়ের মতো রাস্তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রশস্ত। তার উপরে সেই রাস্তাকে বাণিজ্যিক কারণে ব্যবসায়ীদের অনেকেই জবরদখল করায় আরও সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে। দুর্গাপুজো-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় সেই সংকীর্ণ পথে মানুষের ঢল নামে। নাজেহাল হতে হয় পথচারী থেকে সব ধরণের মানুষকেই। সমস্যা আরও বাড়ে পুজো কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। কারণ, সেই রাস্তার দু’পাশে চার ফুট করে জায়গা দখল করে তোরণ তৈরি হয়।
এমনকি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় গত বছর পুজোতে প্রায় ৫০০ মিটারের মধ্যে ৫-৭টি তোরণ তৈরি করেছিল বিভিন্ন সংস্থা। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে রেহাই দিতে এ বার পুজোর আগে শহরের মধ্যে রাস্তায় তোরণ করা নিয়ে বহরমপুর পুরসভা কড়া অবস্থান নিয়েছে। ফলে বিরোধ বেধেছে পুরসভার সঙ্গে পুজো কমিটির কর্তাদের। বহরমপুরের পুরপ্রধান নীলরতম আঢ্য বলেন, ‘‘নাগরিক স্বার্থে ৮ ফুট জায়গা দখল করে এ বার আর তোরণ তৈরি করতে দেওয়া দেওয়া হবে না। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার করার পর এ বিষযে পুরসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
দিন দশেক আগে বহরমপুর শহরের ৩-৪টি পুজো কমিটির তোরণ পুরসভার পক্ষ থেকে ভেঙেও দেওয়া হয়। তবে নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ করে পুরসভার অনুমতি নিয়ে রাস্তার এক পাশে ইংরাজি ‘এল’ আকৃতির তোরণ তৈরি করতে পারে। তার পরে নির্দিষ্ট দিনের পর তোরণ খুলে নিতে হবে। পুরসভা এই সিদ্ধান্তে খুশি বহরমপুর শহরের খাগড়া এলাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, টোটো ও তোরণের অত্যাচারে পুজোর বাজারে প্রত্যাশা মতো ক্রেতা মেলে না। এ বার অন্তত ছবিটা বদলাবে।