Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুরসভার লঞ্চেই চলছে পিকনিক

চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য বলছেন, “ওই লঞ্চ একদিকে ফেরিঘাটে চলবে, অন্যদিকে ভাড়াও দেওয়া হবে।’’

সেই লঞ্চ। নিজস্ব চিত্র

সেই লঞ্চ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৫৭
Share: Save:

পিকনিক ও পর্যটনের মরসুম চলছে। অনেকেই নদীর বুকে পিকনিক বা আনন্দ করার কথা ভাবেন। কিন্তু সে ভাবে ভাল লঞ্চ মেলে না। সেই সমস্যা দূর করতে গঙ্গাবক্ষে পিকনিক বা ছোট-খাটো অনুষ্ঠান করার সুযোগ করে দিল বহরমপুর পুরসভা। পরিবহণ দফতর থেকে পাওয়া একটি লঞ্চ পিকনিক বা অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেবে পুরসভা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই লঞ্চ ভাড়া দেওয়া হবে। এতে খুশি বহরমপুরের বাসিন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, পুরসভা খুবই ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে গঙ্গাবক্ষে আনন্দ-অনুষ্ঠান করার সুযোগ পাবেন।

চেয়ারম্যান নীলরতন আঢ্য বলছেন, “ওই লঞ্চ একদিকে ফেরিঘাটে চলবে, অন্যদিকে ভাড়াও দেওয়া হবে।’’

খরচ কেমন হবে? পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই লঞ্চ ভাড়া মিলবে। পুরসভা নিযুক্ত কর্মীরাই লঞ্চ চালাবেন। এ জন্য ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এছাড়াও যাঁরা লঞ্চ ভাড়া নেবেন, তাঁদের ডিজেল খরচও দিতে হবে। সূত্রের খবর, লঞ্চ ঘণ্টায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার যায়। আর এক ঘন্টায় ১০ লিটার ডিজেল খরচ হয়। লঞ্চ বুকিংয়ের সময় পাঁচ হাজার টাকা জমা দিতে হবে। এটা ফেরতযোগ্য। সন্ধ্যা ৭টার পর লঞ্চ চালালে ঘণ্টা পিছু ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত খরচ লাগবে। লঞ্চ নেওয়ার সময় যেমন সব কিছু দেখে নেবেন, তেমনি ফেরত দেওয়ার সময় দেখে দিতে হবে। লঞ্চের কোনও ক্ষতি হয়নি, চালকের সার্টিফিকেট পাওয়ার পর ফেরত যোগ্য টাকা পুরসভা ফিরিয়ে দেবে।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বরে তারিখে পরিবহণে সুবিধার জন্য এই লঞ্চটিকে বহরমপুর পুসভাকে দিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। লঞ্চটিতে প্রায় একশো জন যাত্রী ধরবে। লঞ্চ পাওয়ার পর পুরসভা সেটির অন্দর সজ্জা করেছে। লঞ্চে বাথরুম থেকে শুরু করে রান্নাঘরের ব্যবস্থা আছে। সম্প্রতি সেটি আনন্দ-অনুষ্ঠানে ভাড়া দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বহরমপুরের বাসিন্দারা লঞ্চ বুকিং শুরু করে দিয়েছেন। পুরসভাতে বুকিংয়ের ব্যবস্থা আছে।

বহরমপুর শহরের বিটি কলেজ বটতলা এলাকার বাসিন্দা সুজয় সরকার বলছেন, “ব্যবস্থা না থাকায় কেউ কেউ সাধারণ নৌকায় পিকনিক করেন। তবে পুরসভা যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা খুব ভাল। লঞ্চে পিকনিক হলে নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সব রকমের ভাল ব্যবস্থা থাকবে।” খাগড়ার বাসিন্দা সৌম্যদীপ দাস বলছেন, “আমরা স্থানীয় মাঝিদের কাছ থেকে নৌকা ভাড়া করে নদীবক্ষে একাধিক বার পিকনিক করেছি। তবে তার থেকে পুরসভার লঞ্চের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চয় ভাল হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Picnik Ferry
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE