আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের মামলায় তিন দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ দা।য়ের হওয়ার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পরে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে আসায় চার্জশিট জমা করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সরকার পক্ষের আইনজীবী নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, “দ্রুত চার্জশিট জমা হলে বিচার প্রক্রিয়াও তাড়াতাড়ি শেষ হয়। আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যেই রায় হয়ে যাবে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর কৃষ্ণনগরের নাজিরাপাড়ায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ হয় বিজন শীল নামে এক নাপিতের বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, ধরা পড়ার পরেই সে অপরাধ স্বীকার করে নেয়। এর পরে ৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা করা হয়। ১২ ডিসেম্বর চার্জ ফ্রেম হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ‘প্রোটেকশন অফ চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (পকসো) আইনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা (দ্বিতীয়) আদালতের বিচারক জিমূতবাহন বিশ্বাসের এজলাসে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আগেও পকসো আইনে একাধিক মামলায় ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার নজির আছে। আসামিরা কঠিন শাস্তিও পেয়েছে। ২০১৪-এ নদিয়ায় পকসো আইনের জন্য বিশেষ আদালতে বিচার শুরু হয়। এই সব মামলা যাতে দ্রুত ও সঠিক ভাবে হয় তার জন্য জেলা পুলিশের তরফে বিশেষ ‘মনিটরিং সেল’ও গঠন করা হয়।
নদিয়া ডিস্ট্রিক চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারম্যন রিনা মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চাই, শিশুদের উপরে নির্যাতনের মামলার দ্রুত নিস্পত্তি হোক।”
পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “পকসো মামলার চার্জশিট দ্রুত জমা করার নির্দেশ দেওয়া আছে। আশা করছি, মামলার নিস্পত্তিও দ্রুত হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy