Advertisement
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
TMC MLA

Nadia: তৃণমূল বিধায়কের ছবি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, যুবককে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের 

একটি ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। সেই ছবি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেন জিল্লুর রহমান। তার পরই ‘গোলমাল’।

ফেজ টুপি পরা তৃণমূল বিধায়কের ছবি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করেন জিল্লুর।

ফেজ টুপি পরা তৃণমূল বিধায়কের ছবি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করেন জিল্লুর। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পলাশিপাড়া  শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২ ০০:১০
Share: Save:

ফেসবুকে এক তৃণমূল বিধায়কের ছবি দিয়ে পোস্ট করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হল এক যুবককে। বস্তুত, প্রথমে রটে গিয়েছিল, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি, তাঁর নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৫, ৫০০ এবং ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ জানায়, ওই যুবককে গ্রেফতার বা আটক কিছু করা হয়নি। তবে তাঁকে থানায় ডেকে কিছু বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল।

সোমবার ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় নদিয়া জেলার পলাশিপাড়া থানা এলাকায়। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, বিধায়কের নামে সংশ্লিষ্ট পোস্ট করে এলাকায় ‘উত্তেজনাকর পরিস্থিতি’ তৈরির প্রেক্ষিতে জিল্লুর রহমান নামে ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। অন্য দিকে, সংখ্যালঘু এবং নাগরিক সমাজের একাংশের অভিযোগ, ওই ভাবে মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে পুলিশ। বাধা দেওয়া হচ্ছে বাক্‌স্বাধীনতায়।

সম্প্রতি একটি ইফতার পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। ফেজ টুপি পরা তৃণমূল বিধায়কের একটি ছবি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করেন জিল্লুর। সঙ্গে লেখেন, ‘ভোট বড় বালাই। কখনও ব্রাহ্মণ, কখনও মুসলমান। আবার কখনও কচি বাচ্চার বাবা। আবার কখনও বড় চাষির ছেলে সাজতে হয়। তবেই সেই লোক জনদরদী নেতা হয়। আজকাল সাধারণ মানুষ কাজের মূল্যায়নের জন্য ভোট দেবে না। ভোট দেবে যে যত বহুরূপী সাজতে পারবে, সে তত ভোট পাবে। বর্তমানে এই বাংলাতে ভোটে জিততে হলে তাপস পালের মতো, রহমত সাজতে হবে। যে যত ভালবাসা দেবে, তার কাছে তত জাতিবিদ্বেষ থাকবে। যেমন প্রদীপের নিচে অন্ধকার থাকে।’

যে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক।

যে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক।

জিল্লুরের পরিবারের অভিযোগ, সেই পোস্টের অব্যবহিত পরে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় থানায়। তার পর গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। পলাশিপাড়া থানার ওসি জানান, শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল জিল্লুরকে।

অন্য দিকে, স্থানীয় সূত্রের দাবি, জিল্লুরকে থানায় ডেকে পাঠানোর পর সংখ্যালঘু সমাজ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি থানায় ফোন করে প্রশ্ন তোলে.কেন রোজা রাখা এক যুবককে এ ভাবে হয়রান করা হচ্ছে? ব্যক্তি অধিকার এবং বাক্‌স্বাধীনতা খর্বের অভিযোগ আনে তারা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।

পুলিশ অবশ্য জানায়, জিল্লুরকে আদৌ গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে থানায় ডেকে কয়েকটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল মাত্র। তাঁর ওই পোস্টের জেরে এলাকার উত্তেজনা ছড়ানোর অবকাশ রয়েছে বলেও তাঁকে জানায় পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE