ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ দলের।
তখনও রাত বেশি হয়নি। মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। হঠাৎ পটকা ফাটার মতো একটা আওয়াজ। একটু বিরক্তই হয়েছিলেন হাঁসখালির বাসিন্দা মিতা বিশ্বাস। ভেবেছিলেন, কেউ বাজি ফাটাচ্ছে। কিন্তু ঘাড় ঘোরাতেই ভুল ভাঙে। দেখেন, পিছনের সারিতে বসা বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস মাটিতে পড়ে আছেন। চারপাশে রক্ত।
বিধায়কের বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে রবিবার মিতা বলেন, ‘‘আমার পিছনেই চেয়ারে বসেছিলেন বিধায়ক। দেখি, তিনি মাটিতে পড়ে গিয়েছেন। ভেবেছিলাম, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর পর দেখি রক্ত। আমি চিৎকার করে উঠি। তত ক্ষণে ছোটাছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে।’’ ঘটনার পরের দিনও তাঁর চোখমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার অন্যদের সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়েছিলাম। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে ভিড় তখন একটু পাতলা। তখনই ঘটে ওই ঘটনা।’’
মিতা জানিয়েছেন, প্রতিবেশী হিসাবে মিশুকেই ছিলেন বিধায়ক। দেখা হলেই সব সময় কথা বলতেন। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মঞ্চ থেকে ১৫-২০ ফুট দূরে চেয়ারে বসেছিলেন তাঁরা। মিতা বলেন, ‘‘উনি এ দিনও এসে আমার মেয়েকে জিজ্ঞাসা করেন, কখন এসেছিস। তার কিছু সময় পরেই এই ঘটনা। জানেন, সারা রাত ঘুম হয়নি। শুধু ওই দৃশ্যটা চোখে ভাসছে। এখনও বিশ্বাস
হচ্ছে না।’’
বিধায়ক এ ভাবে খুন হয়ে যাবেন, তা যেন বিশ্বাস হচ্ছে না এলাকার অন্য বাসিন্দাদেরও। এ দিন সকাল থেকেই তাঁরা ভিড় করেছিলেন বিধায়কের বাড়িতে। তাঁদেরই এক জন সুমিত্রা বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিধায়ক হলেও আমাদের সঙ্গে সহজ ভাবেই মিশতেন। বাড়ির কাছে অনুষ্ঠান। এলাকার সবাই যায়। এমন হয়ে যাবে, কেউ ভাবেনি। আমরাও ছিলাম সেখানে। হঠাৎ শুনি বিধায়ককে গুলি করেছে।’’
সত্যজিতের ভাই সুজিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, সেই সন্ধ্যায় বেশ কয়েক বার লোডশেডিং হয়। কেন এত বার লোডশেডিং, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুজিত বলেন, ‘‘বাড়ির কাছে অনুষ্ঠান। তাই আমরা সবাই সেখানে ছিলাম। যে গুলি করেছে, সেই ছেলেটাকে অনেকে তাড়াও করে।’’ বিধায়কের এক আত্মীয় প্রভাস হালদার বলেন, ‘‘বাড়ির কাছে এ রকম ঘটনা ঘটবে, কে ভেবেছিল! বাচ্চা ছেলেটা এই বয়সে
পিতৃহারা হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy