Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মারের ভয়েই স্কুলে গরহাজির পড়ুয়ারা

দুই গ্রামের গোলমালে ১৩০ পড়ুয়ার স্কুলে যাওয়া বন্ধ। কারণ স্কুলে গেলেই সেই গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে মার খেতে হবে, এই আশঙ্কায় স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে অন্য গ্রামের পড়ুয়ারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৫ ০১:১৯
Share: Save:

দুই গ্রামের গোলমালে ১৩০ পড়ুয়ার স্কুলে যাওয়া বন্ধ। কারণ স্কুলে গেলেই সেই গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে মার খেতে হবে, এই আশঙ্কায় স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে অন্য গ্রামের পড়ুয়ারা। নদিয়ার তেহট্টের এই ঘটনার জেরে অভিভাবকদের একাংশ ব্লক প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, এমন চললে তাঁরা ছেলেমেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তি করাবেন। তেহট্ট ২ বিডিও শেখ জাহাঙ্গির আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

গোপীনাথপুর এলাকার দুই গ্রাম দফাদারপাড়া ও শেখপাড়ার মধ্যে মাস সাতেক ধরেই বিবাদ চলছে। রাজমিস্ত্রির কাজ নিয়ে বচসার জেরে দফাদারপাড়ার এক যুবককে মারধর করে শেখপাড়ার এক যুবক। দফাদারপাড়ার বাসিন্দাদের সম্পর্কে নানা কটূক্তিও করে। তার জেরে কয়েক দিন পরে শেখপাড়ার এক ব্যক্তি দফাদারপাড়ায় এলে তাঁকে মারধর করা হয়। এর পর থেকে মাঝেমধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তার প্রভাব পড়ে লাগোয়া স্কুল গোপীনাথপুর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র, স্থানীয় বাজার, রেশনের দোকানেও।

দুই গ্রামের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন গ্রামে একটি কমিটি তৈরি করে দেয়। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। ঝুঁকি এড়াতে এক গ্রামের লোক অন্য গ্রামে পা রাখে না। গণ্ডগোল চরমে ওঠে ১৫ জুন। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দিন দফাদারপাড়ার এক ছেলেকে মারধর করে শেখপাড়ার কিছু ছেলে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মারধরের ঘটনার পরে ভয় পেয়ে দফাদারপাড়ার পড়ুয়ারা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রটি শেখপাড়ার কাছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করার কথা দফাদারপাড়ার অভিভাবকরা বিডিওকে জানিয়েছেন।

গোপীনাথপুর মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষক তোজাম্মেল মণ্ডল বলেন, “পুলিশ ও প্রশাসন বহু বার সমাধানের ব্যবস্থা করেছেন। তার পরেও নতুন করে সংঘাতের জেরে গত ১৮ জুন থেকে দফাদার পাড়ার ১৩০ পড়ুয়া আমার স্কুলে ভয়ে আসছে না। সব কথা আমি বিডিওকে জানিয়েছি।’’ তিনি আরও জানান, অভিভাবকদের কাছে তিনি আবেদন করেছেন ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নষ্ট না করতে। এলাকার এক বাসিন্দা আইনজীবী অনিকেত জোয়ারদার বলেন, “সব রাজনৈতিক দল, পুলিশ, প্রশাসন, বিবাদের বিষয়ে জানে। দ্রুত সমাধান না হলে এতগুলো ছাত্রছাত্রীর প্রচুর ক্ষতি হবে।” পুলিশ জানায়, আজ মঙ্গলবার দুই পক্ষকে নিয়ে ফের বৈঠক হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Karimpur Student school teache shek para
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE