বিরোধীদের পায়ের নীচ থেকে লাগাতার মাটি সরিয়ে দু’তিন বছরে তিনি দখল করে নিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদ। দলে-দলে বিরোধী নেতা রং বদলে ভিড়ে গিয়েছিল তৃণমূলে। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলিতে জট কাটাতে ‘কৌশল’ প্রয়োগের নির্দেশ দিলেন তিনি— মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার বিকেলে বহরমপুরের ট্যুরিস্ট লজে দলের জয়ী প্রার্থী ও নেতাদের নিয়ে বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “দলনেত্রীকে এই জেলা উপহার দিয়েছি। ইতিমধ্যে ২৩১টি পঞ্চায়েত আমাদের দখলে। বাকি ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি করে বিজেপি ও কংগ্রেসের পক্ষে গিয়েছে। বাকি ১৭টি ত্রিশঙ্কু। কৌশল করে এই ত্রিশঙ্কু গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও আমাদের বোর্ড গড়তে হবে।” কী সেই ‘কৌশল’, তা অবশ্য তিনি ভেঙে বলেননি।
সেই সঙ্গেই শুভেন্দুর সতর্কবার্তা, “আমাদের ৮০ শতাংশ নির্বাচিত প্রতিনিধি নতুন। তাঁদের অনেকেই পঞ্চায়েতের নিয়ম জানেন না। দলের হুইপ অমান্য করে কেউ বোর্ড গঠন করতে গেলে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে।’’
অন্য দলের বিধায়কেরা তৃণমূলে আসতে চাইলে আগে ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শও দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিধায়ক বাড়াতে হবে। অপূর্ব সরকার, শাওনী সিংহ রায় আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। খড়গ্রামের কংগ্রেস বিধায়ক আশিস মার্জিতও যোগ দিচ্ছেন।’’ তাঁর নির্দেশ, ‘‘অন্য দলের বিধায়কেরা তৃণমূলে আসতে চাইলে দলের ব্লকস্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে আসতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা আসতে চাইলে অঞ্চল কমিটি থেকে শুরু করে ব্লক ও জেলা কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।’’
ভোটপর্বে বড়ঞা ও সাগরদিঘিতে দুই তৃণমূল কর্মী, বেলডাঙায় এক বিজেপি কর্মী এবং নওদায় এক নির্দল কর্মী খুন হয়েছিলেন। শুভেন্দু জানান, প্রত্যেকের পরিবারকে রাজ্য সরকার দু’লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। তৃণমূলের দুই কর্মীর পরিবারকে এ দিন দলের তরফে আরও দু’লক্ষ টাকা করে দেন তিনি। চাকরির আশ্বাসও দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy