Advertisement
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
কেন্দ্রের নতুন গুঁতোয় বেচাল মিষ্টিও

বিজয়ার সন্দেশেই প্রতিবাদ জিএসটি-র

নরম পাকের ক্ষীরের সঙ্গে মিহি করে বাঁটা ছানা মিশিয়ে তৈরি হয়েছে প্রমান সাইজের এই সন্দেশ। প্রায় গোলাকৃতি সন্দেশের মাঝে জাফরান আর গোলাপ পাঁপড়ির হালকা ছোঁয়া। সন্দেশের উপরে সবুজ নালি ক্ষীর দিয়ে ইংরেজি হরফে লেখা ‘জিএসটি’।

অভিনব: সন্দেশের নাম জিএসটি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে এই মিষ্টিকে ঘিরে। কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

অভিনব: সন্দেশের নাম জিএসটি হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে এই মিষ্টিকে ঘিরে। কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:৩০
Share: Save:

ধর্মঘট, অনশন করে ঠেকাতে না পেরে বহু আলোচিত জিএসটি বিরুদ্ধে এ বার সন্দেশ দাগলেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।

নরম পাকের ক্ষীরের সঙ্গে মিহি করে বাঁটা ছানা মিশিয়ে তৈরি হয়েছে প্রমান সাইজের এই সন্দেশ। প্রায় গোলাকৃতি সন্দেশের মাঝে জাফরান আর গোলাপ পাঁপড়ির হালকা ছোঁয়া। সন্দেশের উপরে সবুজ নালি ক্ষীর দিয়ে ইংরেজি হরফে লেখা ‘জিএসটি’। বিজয়া উপলক্ষ্যে এই সন্দেশ তৈরি করছেন কৃষ্ণনগরের চার পুরুষের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী তাপস দাস। প্রতিটির দাম পনেরো টাকা।

জিএসটি নিয়ে এ রাজ্যের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা প্রথম থেকেই সরব হয়েছেন। ধর্মতলার রাস্তায় অনশন করেও জিএসটির হাত থেকে রেহাই পাননি। শেষে ‘জিএসটি’ নামের নতুন সন্দেশকে প্রচারের হাতিয়ার করতে চাইছেন নদিয়া জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সহ সম্পাদক তাপসবাবু। তাঁর কথায়, “বহু আলোচিত জিএসটি দিয়ে সন্দেশের নামকরণের জন্য স্বাভাবিক ভাবেই শহুরে ক্রেতাদের আগ্রহ এই মিষ্টি ঘিরে বেশি। তাঁরা জানতে চাইছেন মিষ্টির নাম জিএসটি কেন? আমরা এই সুযোগটাই চাইছি। জিএসটি মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কী ভাবে সর্বনাশ করছে, সে বার্তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।”

কৃষ্ণনগরের আনন্দময়ী তলায় শতবর্ষ অতিক্রম করা এই মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই নিত্য নতুন মিষ্টি তৈরির জন্য পরিচিত। তাঁদের চিনির সন্দেশ, পক্কান, দোলো চিনি, দরবেশ এখনও নদিয়া রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় দেওয়া বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন উৎসবে সময় নতুন মিষ্টি তৈরি করার যে রীতি বহুকাল ধরে বহন করে চলেছেন সেই অভ্যাস থেকেই এ বারের পুজোয় জিএসটি সন্দেশের ভাবনা।

একই ভাবে নবাবের শহর লালবাগের মিষ্টি ব্যবসায়ী রাহুল দত্তও তৈরি করেছিলেন জিএসটি সন্দেশ। তবে সাত টাকা দামের সেই সন্দেশ অবশ্য ওই অঞ্চলে তেমন জনপ্রিয় হয়নি।

উল্লেখ্য দেশজুড়ে সদ্য চালু হওয়া জিএসটির ফলে মিষ্টির উপরে এমন কিছু প্রস্তাব রয়েছে, যা কার্যকরী হলে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বে বাংলার মিষ্টান্ন শিল্প। ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা এমনিতেই মানুষের খাবারের রুচির বদল ঘটেছে। এরপর দাম বাড়লে মানুষ মিষ্টির দোকানমুখো হবেন না।

তবুও মিষ্টি ছাড়া অচল বঙ্গজীবন। তাই জিএসটির বিপদ নিয়েও টিকে আছে অধরের সরপুরিয়া, নবদ্বীপের লালদই, শান্তিপুরের নিঁখুতি, রাণাঘাটের পান্তুয়া বা মুর্শিদাবাদের মনোহরা। তালিকায় যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন নাম। বহরমপুরের বিজয়গোপাল দাস এ বারের বিজয়া উপলক্ষে নারকেল, চিঁড়ের নাড়ু বানিয়ে বিক্রি করছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Sweets GST Protest জিএসটি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy