Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হাঁটু-কাদা পেরিয়ে স্কুলে যায় মেয়ে

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বেলডাঙা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আবু সইদ। নাগরিকদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় ওঠে আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।• বেলডাঙার নানা জায়গায়, বিশেষ করে গ্রামের দিকে নিকাশি ব্যবস্থা খুবই বেহাল। আমার গ্রাম জানকীনগরে এপ্রিল-অক্টোবর, এই সময়ে নিকাশি নিয়ে নাকাল হতে হয়। জল ঠিক মতো বের না হওয়ায় পূর্বপাড়ায় রাস্তার উপর জল যায়। কিন্তু আমাদের সেই রাস্তা ধরেই বেলডাঙা শহরে আসতে হয়। পঞ্চায়েতে এই নিয়ে একাধিকবার জানিয়েছি। এর থেকে মুক্তি চাই। মহম্মদ মাজিদ আলি, জানকীনগর

বেলডাঙার মাঝপাড়ায় জলের জন্য লম্বা লাইন(বাঁ দিকে)। ডান দিকে, জানকীনগরে সামান্য বৃষ্টিতে এ ভাবেই জল জমে রাস্তায়। — নিজস্ব চিত্র

বেলডাঙার মাঝপাড়ায় জলের জন্য লম্বা লাইন(বাঁ দিকে)। ডান দিকে, জানকীনগরে সামান্য বৃষ্টিতে এ ভাবেই জল জমে রাস্তায়। — নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৬ ০০:২৫
Share: Save:

বেলডাঙার নানা জায়গায়, বিশেষ করে গ্রামের দিকে নিকাশি ব্যবস্থা খুবই বেহাল। আমার গ্রাম জানকীনগরে এপ্রিল-অক্টোবর, এই সময়ে নিকাশি নিয়ে নাকাল হতে হয়। জল ঠিক মতো বের না হওয়ায় পূর্বপাড়ায় রাস্তার উপর জল যায়। কিন্তু আমাদের সেই রাস্তা ধরেই বেলডাঙা শহরে আসতে হয়। পঞ্চায়েতে এই নিয়ে একাধিকবার জানিয়েছি। এর থেকে মুক্তি চাই। মহম্মদ মাজিদ আলি, জানকীনগর

ওই সমস্যার কথা জানি। ওই এলাকায় অনেক বার গিয়েছিও। স্থানীয় বিধায়ককে সমস্যার কথা বলেছি। তারপর ওই নিকাশি সমস্যা মেটাতে সাংসদ তহবিল থেকে টাকা খরচ করে সমস্যা মেটাবার চেষ্টা হচ্ছে। সেটা হলে রাস্তায় আর জল জমবে না।

দেবকুণ্ডু, বেগুনবাড়ি ও কাপাসডাঙা, এই তিন পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের ব্যবহারের একটাই রাস্তা যেটি বেলডাঙা সরুলিয়ার উপর দিয়ে গিয়েছে। রেল লাইনের পাশ দিয়ে যাওয়া ওই রাস্তাটি ২০০০ সালের বন্যায় অস্তিত্ব হারিয়েছে। ওই রাস্তা নির্মাণ হলে মানুষ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে সরাসরি আমতলা যেতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ দুই বাঁচবে।

হায়াত নবি খান, সরুলিয়া

আমরা ওই রাস্তার গুরুত্বের কথা ভেবে জেলা পরিষদের সহযোগিতা নিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলাম। কারণ সেখানে দুটো বড় স্কুল আছে। রাস্তা না থাকলে ছাত্রদের সমস্যা হয়। কিন্তু নতুন করে রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে দেখেছি রাস্তার জায়গায় অনেক দখলদার। গ্রামের মানুষ যদি দখলদার মুক্ত করতে সাহায্য করেন তবে আমরা রাস্তা নির্মাণ করতে পারব।

আমি বেলডাঙার মেদেরধার গ্রামের বাসিন্দা। ভাগীরথীর তীরবর্তী এই গ্রামে যাতায়াতের রাস্তা সারা বছরই খারাপ থাকে। বর্ষা তো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বাড়ির ছেলেমেয়েরা রাতে টিউশন নিয়ে বাড়ি ফিরতে প্রতিদিন সমস্যায় পড়ে। তার সঙ্গে ভাগীরথীর ভাঙনে সমস্যা বাড়ছে প্রতিদিন। এর সমাধান চাই।

শেখ কুবাদ আলি, মেদেরধার গ্রাম

আমরা গ্রামের অন্য রাস্তা মেরামত করতে পারি। কিন্তু বাঁধের ধারের রাস্তা তৈরি করে সেচ দফতর। আমরা তাদের ওই রাস্তা দিকে গুরুত্ব দিতে অনুরোধ করব। তারা যদি গুরুত্ব দিয়ে করে তবে গ্রামের ওই পুরানো সমস্যা মিটে যাবে।

বেলডাঙা জালালপুর গ্রাম ও তার আসপাশে কাঁটাগাছি, নতুনপাড়া এলাকায় পাঁচটা প্রাথমিক স্কুল ও শিশু মাদ্রাসা রয়েছে। এলাকার প্রচুর সব্জি বেলডাঙা শহরে ও জেলার অন্যত্র যায়। কিন্তু গ্রামে রাস্তা বেহাল। প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীদের কষ্টের শেষ নেই। তার সঙ্গে সব্জি বেলডাঙা নিয়ে যেতে বেহাল রাস্তা দিয়ে বেশি খরচ পড়ে। ফলে ব্যবসার ক্ষতি হয়।

ইমান বক্স, নতুনপাড়া

ব্যবসা ও ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে ওই রাস্তা তৈরির ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের গোচরে আনব। তারা সেচ দফতরকে বলে ওই রাস্তা মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ করে দেবে।

দেবকুণ্ডু গ্রামে প্রায়ই দেখছি নিকাশি নালা ও পুকুর ভরাট করে বাড়ি ও দোকান গড়ে উঠছে। বর্ষা নামতেই এলাকায় জল জমছে। দখলকারীরা যে নালা বা পুকুর বোজাচ্ছে তাদের সচেতনতা বাড়াতে পঞ্চায়েত সমিতি বা প্রশাসন কি কোনও উদ্যোগ নিয়েছে?

মহম্মদ নাজির হোসেন, দেবকুণ্ডু

আমরা নিজেরা গিয়ে মানুষকে সচেতন করেছি। তাতে খুব লাভ হয়নি। তারপর রাজনৈতিক ভাবে সচেতনতার করার চেষ্টা করছি। তাতে ফল না মিললে পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হবে।

বেলডাঙা মহ্যমপুর থেকে বড়ুয়া ও ছাপাখানা থেকে কালীতলা মোড়—এই দু’রাস্তার দু’দিকে নিকাশি নালা ও পুকুর ছিল। সেগুলো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তার উপরেই বাড়ি হচ্ছে। এলাকার অনেক জমি দখলদারদের দখলে। ফলে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে স্থানীয় বাজারকে। বাজারকে রক্ষা করতে কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে? জেলা পরিষদও তাদের জায়গা দখল নিতে পারছে না। এর কি কোনও ব্যবস্থা হবে?

নজরুল হক, কাপাসডাঙা

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ বন্ধ। ওই জায়গায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিকাশি নালা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় সড়ক এখন উদ্যোগ না নিলে এর স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। অন্য দিকে, যে দখল হয়েছে তা কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা দেখছি।

বেলডাঙা দেবপুরে জলাশয় বেদখলের ফলে নিকাশি ব্যহত হচ্ছে। দেবপুর হাইস্কুলের মাঠে হাঁটু জল। দেবপুর ও বেসিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত করতে সমস্যা হয়। অনেক ক্ষেত্রে দখলকারীদের উচ্ছেদ করতে প্রশাসনের সাহায্য চেয়েও মেলে না।

আহাসান হাবিব, চৈতন্যপুর

দেবকুণ্ডুতে এ ভাবেই জমেছে প্লাস্টিক।— নিজস্ব চিত্র

আমরা তিন বছর হল ক্ষমতায় এসেছি। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে অনেক বৈঠক করেছি। তা রূপায়ণের সময় দেখেছি অর্থের অভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। এই তিন বছরে আমরা সমিতিতে উন্নয়নের জন্য মাত্র এক কোটি টাকা পেয়েছি। ফলে পরিকল্পনা করলেও আর্থিক সমস্যার কারণে সব কাজ করতে পারছি না।

বেলডাঙা ঝুনকা গ্রামের হাই মাদ্রাসা থেকে রামেশ্বরপুর হাইস্কুল পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। বর্ষায় ছেলেমেয়েরা রাস্তার দশা দেখে স্কুলে যেতে চায় না। ভাল পাকা বা ঢালাই রাস্তা কবে হবে?

আওয়াল হোসেন, রামেশ্বরপুর

ওটা খুব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে আমরা ওই রাস্তাকে গুরুত্ব দিয়েছি। জেলা পরিষদকে বলে ঢালাই রাস্তার পরিকল্পনা রয়েছে।

বেলডাঙা শহর লাগোয়া দেবকুণ্ডু পঞ্চায়েতের মাঝপাড়া এলাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। এলাকাটা আর্সেনিক কবলিত। তবুও বিশুদ্ধ পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এলাকার দু’টি স্কুল ও এলাকার মানুষ জলের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়েও পর্যাপ্ত জল পান না।

রাজকুমার শেখ, মাঝপাড়া

আমরা বেশ কয়েকটি স্কুলে নলকূপ বসিয়েছি। পযার্প্ত জল এলাকায় সরবরাহ করতে জেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে বলা হয়েছে। তারা সক্রিয় না হলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।

বেলডাঙায় দু’টো হাসপাতাল। তবু গ্রামের মানুষ কোনও পরিষেবা পান না। আমি এলাকার মানুষের সঙ্গে হাসপাতাল গিয়ে দেখেছি হাসপাতালে দু’জন চিকিৎসক। অন্য দিকে, রোগী কমবেশি ৮০০ জন। কী অব্যবস্থা না দেখলে বিশ্বাস হবে না।

মন্টু বিশ্বাস, চৈতন্যপুর

আমরা চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির উপর জোর দিই। আমদের দিক থেকে কোনও রকম পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিই। বেলডাঙা ব্লক হাসপাতালে মহিলাদের রাতে থাকার জন্য একটা ভবনও আমরা নির্মাণ করেছি। তবে হাসপাতালের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর ভরসা ছাড়া উপায় নেই।

বেলডাঙা সরুলিয়া এলাকায় মাটির তলা দিয়ে পানীয় জলের পাইপ পাতা থাকলেও এলাকার মানুষ জল কষ্টে জেরবার। তা ছাড়া এলাকায় নিকাশির অব্যবস্থা ও দূষণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। পাশেই পুরসভা এলাকা। সেখানে পযার্প্ত ময়লা ফেলার জায়গায় নেই। ফলে পুর এলাকার প্লাস্টিক আমাদের এলাকায় জমা হয়। সমস্যা বাড়ে।

সিরাজুল ইসলাম, সরুলিয়া

আমরা ব্লকের অনেক স্থানে নলকূপ বসিয়েছি। কিন্তু পাইপ জল দেওয়ার পরিকাঠামো আমাদের নেই। তবে পুরসভাকে বলে তাদের এলাকার দূষিত দ্রব্য যাতে পঞ্চায়েতে না আসে সে ব্যবস্থা করব।

বেলডাঙার চৈতন্যপুর ১ পঞ্চায়েতের বেতবেড়িয়া গ্রামের একটি রাস্তা প্রায় সারা বছর ভাণ্ডারদহ বিলে ডুবে থাকে। নদী ভাঙনের জেরে এই অবস্থা। সারাইয়ের ব্যবস্থা নিলে বাধিত হব।

আজাদ শেখ, চৈতন্যপুর

আমরা মানুষের কথা ভেবে এই সমস্যা মেটাতে জেলা পরিষদের সাহায্য চেয়েছি। আমরা সঙ্গে থেকে সমস্যা মেটাব।

সারগাছি থেকে রতনপুর যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। অনেক আন্দোলন করে তা সারানো হয়েছে। কিন্তু তা এক বছরেই খারাপ হয়ে গেল। পঞ্চায়েত সমিতি কি বলবে। গ্রামে সেচের ব্যবস্থা নেই। বিশুদ্ধ পানীয় জল নেই।

আব্দুল রাজ্জাক, দেবপুর

রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণ ওভারলোড লরি ওই রাস্তায় চলাচল করে। অতিরিক্ত ভার না নিতে পেরে রাস্তা ভেঙেছে। সুষ্ঠু পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেচের জল কী ভাবে পাওয়া যায় তা দেখা হচ্ছে।

মাড্ডা বেনাদহ হয়ে ভাদুর যাওয়ার রাস্তা নেই। সেই রাস্তা হলে ভাদুরকে আর বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে হয় না। গ্রামের মানুষকে প্রতিদিন সমস্যার মধ্য থাকতে হয় না। ওই রাস্তায় আঁইশঘাটির কালভার্ট ফাটল ধরেছে। তার মেরামতি প্রয়োজন।

মনসুর আলি, বেনাদহ

আগে গ্রামে সবটা মাটির রাস্তা ছিল। তার অনেকটা কংক্রিটের করা হয়েছে। ওই গ্রামে যাওয়ার রাস্তা দু’বারে হয়েছে। আগের সমস্যা আর নেই। তবে পুরো রাস্তা করা হবে।

বেলডাঙার দুই প্রধান জলাশয় ভাণ্ডারদহ ও ডুমনিদহ বিলের সংস্কার করা দরকার। দু’দিকের দখল জমি মুক্ত করে সংস্কার না করলে আগামী দিনে জল উপচে বেলডাঙায় সমস্যায় বাড়বে। তখন হাজার চেষ্টায় কোনও কাজ হবে না।

আব্দুস সালাম, হরেকনগর

আমরা দখল মুক্ত করতে গিয়ে বাধা পেয়েছি। তবে জলাশয় সংস্কার করতে এনআরজিএস প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে।

বেলডাঙার ভাবতার জাতীয় সড়ক থেকে ভাবতা গ্রাম হয়ে ভাদুর গ্রাম যাওয়ার রাস্তা নেই। এই রাস্তার দু’ধারে প্রচুর স্কুল, পঞ্চায়েত ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। যদি রাস্তাটা তৈরি হয় তবে এলাকার অর্থনীতি ফিরবে। এলাকার যুবকদের বাইরের রাজ্যে যেতে হবে না।

শাজাহান আলি, দলুয়া

ওই রাস্তা অনেকটা বড়। ফলে জেলায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা যে তালিকা সেখানে ওই রাস্তা স্থান পেয়েছে। কেন্দ্রের সহায়তা পেলেই রাস্তা তৈরি হবে।

সরুলিয়া গ্রামের প্রসূতিরা হাসপাতালে গেলে পরিষেবা পান না। ফলে একটু জটিল কেসে তাদের ২০ কিলোমিটার দূরে বহরমপুর যেতে হয়। এ বিষয়ে যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

ওয়াজুল শেখ, সরুলিয়া

আমরা স্বাস্থ্য দফতরকে এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। এ ছাড়া আমাদের সমিতির জনস্বাস্থ্যের মিটিং এ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তার ফল নিশ্চয় পাওয়া যাবে।

বেলডাঙার সুতিঘাটা গ্রামের একটি মাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়। গ্রামটিতে সাক্ষরতার হার কম। নাবালিকার বিয়ে সাধারণ ঘটনা। পিচের রাস্তা থেকে স্কুলের দূরত্ব ৬০০ মিটার। সেই বেহাল রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসা সমস্যার। যদি রাস্তার সংস্কার করা যায়।

হিলালউদ্দিন, সুতিঘাটা

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই রাস্তার জন্য প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা খরচ। চলতি অর্থবর্ষে সঠিক টাকার যোগান থাকলে ওই রাস্তার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হবে।

আমাদের দেবকুণ্ডু এলাকায় যে সমস্ত ট্যাপকল আছে, তার নীচের অংশে যে ভাবে আবজর্না পড়ে থাকে তাতে পানীয় জল সংগ্রহ খুব অস্বাস্থ্যকর। যদি সে দিকে সমিতি নজর দেয়।

কবিরুল ইসলাম, দেবকুণ্ডু

ট্যাপকলের নীচে যারা নোংরা করে তাদের আমি নিজে সচেতন হতে বলেছি। তারপররেও খুব বেশি কাজ হয়নি। তাই এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। তাতে সমস্যায় পড়লে প্রশাসনকে জানাতে হবে।

বেলডাঙার মেয়েরা, বিশেষত হরেকনগর এলাকার মেয়েরা হরেকনগর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় ও হরিমতি বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ে। কিন্তু দুটো স্কুলেই পড়াশুনা নিম্নমানের। নেই সে ধরনের শৃঙ্খলাও। যদি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

বদরুল আলম, হরেকনগর

আমরা এমএসডিপি ফান্ড থেকে স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নানা ভাবন সংস্কার ও নলকূপ বসানোর কাজ করছি। দুই স্কুলের বিষয়ে শিক্ষা দফতরকে জানাব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Water logged Rainy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE