Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ডাকঘরের ভল্ট লুঠে ধৃত সাত

গাড়ির সূত্র ধরে জিয়াগঞ্জ ও রঘুনাথগঞ্জ ডাকঘরের ভল্ট লুঠের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা মালদহের সুজাপুরের বাসিন্দা। শনিবার সুজাপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করে রবিবার জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:২০
Share: Save:

গাড়ির সূত্র ধরে জিয়াগঞ্জ ও রঘুনাথগঞ্জ ডাকঘরের ভল্ট লুঠের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা মালদহের সুজাপুরের বাসিন্দা। শনিবার সুজাপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করে রবিবার জঙ্গিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর জিয়াগঞ্জ ডাকঘর থেকে দুষ্কৃতীরা ভল্ট-সহ ৪ লক্ষ টাকা ও প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের শংসাপত্র লুঠ করে নিয়ে যায়। ২৪ ডিসেম্বর গভীর রাতে একই কায়দায় রঘুনাথগঞ্জ ডাকঘর থেকে ১৫ লক্ষ টাকা বোঝাই একটি লোহার ভল্ট নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে গত শুক্রবার ও শনিবার পুলিশ মালদহের সুজাপুর এলাকায় তল্লাশি চালায়। পাপু দাস ও মহম্মদ আব্দুল আলিম নামে দুই যুবকের বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ রঘুনাথগঞ্জ ডাকঘর থেকে খোয়া যাওয়া দু’টি কম্পিউটর উদ্ধার করে। গ্রেফতার করা হয় ওই দুই যুবককেও।

শনিবার রাতে ধৃতদের নিয়ে রঘুনাথগঞ্জ ফেরার পথে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গাড়িকে দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যেতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারা করে গাড়িটিকে পুলিশ আটকায়। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৩০ কেজি গাঁজা। গ্রেফতার করা হয় পাঁচ যুবককেও। তারা সকলেই সুজাপুরের বাসিন্দা। এরপরে গাড়ির নম্বর দেখে পুলিশ হাতে যেন চাঁদ পায়। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “এই গাড়িটিকেই আমরা হন্যে হয়ে খুঁজছিলাম। কারণ এই গাড়িটিতে করেই দুষ্কৃতীরা ওই দুটি ডাকঘরে ডাকাতি করেছিল। এই গাড়ির নম্বর মিলে যাওয়ায় ও ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা নিশ্চিত হয় যে এই পাঁচ জনই ওই ডাকাতির পাণ্ডা।”

রঘুনাথগঞ্জের আইসি সৈয়দ রেজাউল কবীর বলেন, “ধৃতেরা ডাকাতির কথা কবুল করেছে। লুঠ হওয়া দু’টি কম্পিউটর কিনেছিল পাপু ও আলিম। অন্যান্য কম্পিউটারগুলি দুষ্কৃতীরা সুজাপুরেই বিভিন্ন জায়গায় রেখেছে বলে জানা গিয়েছে। লোহার ভল্ট দু’টি-সহ লুঠ হওয়া টাকার খোঁজ পেতে ধৃতদের নিয়ে ফের সুজাপুরে গিয়েছে পুলিশের একটি দল।”

পুলিশ জানিয়েছে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে সুতির চাঁদপুরে একটি টোল প্লাজা রয়েছে। সেখানে রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও। সেই ক্যামেরায় বেশ কয়েকটি গাড়িকে চিহ্নিত করে পুলিশ তদন্তে নামে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

raghunathganj post office vault loot
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE