পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মীদের মহার্ঘভাতায় (ডিএ) বকেয়ার বহর ৫০% ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে সরকারের অন্দরে ক্ষোভের পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী। অসন্তোষ বাড়ছে অফিসার মহলেও। এমতাবস্থায় ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের জন্য পৃথক বেতনক্রম (পে স্কেল) তৈরির ঘোষণা করে ডিএ’র ক্ষোভে খানিকটা প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কর্মীদের মধ্যে আইএএসদের যেমন আলাদা বেতনক্রম, রাজ্যে ডব্লিউবিসিএস’দের জন্য ঠিক তেমনই হবে। এ ছাড়া রাজ্যের আইএএস ও ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের মাসিক বিশেষ ভাতার অঙ্ক বাড়ছে। রাজ্যে আইএএস ও ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের ওই ভাতার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০০০ ও ৯৫০ টাকা। তা বেড়ে হল ১৩০০ ও ১২০০ টাকা।
সোমবার ডব্লিউবিসিএস এগজিকিউটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র প্রত্যাশিত ভাবেই হাততালিতে ফেটে পড়েছে। তবে নবান্ন সূত্রের ইঙ্গিত, ডব্লিউবিসিএস (এগজিকিউটিভ) সংগঠন খুশি হলেও এতে রাজ্য সরকারের অন্যান্য অফিসার ও কর্মচারী মহলে ক্ষোভ বাড়ল বই কমল না। ‘‘প্রায় ৫৬% ডিএ বাকি। তার উপরে এই ঘোষণা! শুনে বাকি কর্মী-অফিসারেরা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ।’’— মন্তব্য নবান্নের এক আধিকারিকের।
শুধু পৃথক বেতন কাঠামো নয়। ডব্লিউবিসিএসদের আরও একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধে দেওয়ার কথা এ দিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেমন, যুগ্মসচিব বা তার ঊর্ধ্বতন পদে দু’টি অতিরিক্ত বেতনবৃদ্ধি বরাদ্দ থাকছে। অতিরিক্ত সচিব মর্যাদায় উন্নীত হতে যুগ্মসচিবদের তিন বছর অপেক্ষার পালাও শেষ। এখন দু’বছরের মধ্যেই তা হয়ে যাবে। এমনকী, বিশেষ সচিব পদ থেকেও দু’বছরের মধ্যে সচিব হওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে আইএএস না-হয়েও সংশ্লিষ্ট অফিসার কার্যত দফতরের সচিবের মর্যাদা পাবেন।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এ দিন অফিসারদের জন্য আবাসন প্রকল্প তৈরির ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তিন সদস্যের এক কমিটির হাতে সে দায়িত্ব অর্পণের নির্দেশ দিয়ে সভায় তাঁর আশ্বাস, ‘‘কমিটি তৈরি হলে আমাদের বলবেন। জমির ব্যবস্থা সরকার করবে।’’
পরিশেষে ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ‘‘আপনাদের মর্যাদা বাড়ানোর দায়িত্ব আমাদের। যাতে আপনারা গর্ব করে বলতে পারেন, আমরা পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিসে আছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy