Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ইছাপুর অস্ত্র-মামলায় নতুন ধারা

ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির অস্ত্র পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কারখানার দুই অফিসারকে। এ বার তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে (প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট) মামলা দায়ের হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ০২:০৩
Share: Save:

ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির অস্ত্র পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই কারখানার দুই অফিসারকে। এ বার তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে (প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট) মামলা দায়ের হল। লালবাজার জানিয়েছে, গত মাসে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের গোয়েন্দারা মূল মামলার সঙ্গে ওই আইনের ধারা যোগ করে তদন্ত শুরু করেছেন।

পুলিশ জানায়, গত ৬ মে বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ডের কাছে অস্ত্র পাচারের সময়ে চার দুষ্কৃতীকে ধরেন এসটিএফের গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় ইছাপুর অস্ত্র কারখানার সাতটি রিভলভার, কার্বাইনের মতো বাতিল অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ। ধৃতদের জেরা করে গ্রেফতার করা হয় কারখানার দুই জুনিয়র ওয়ার্কস ম্যানেজার সুখদা মুর্মু ও সুশান্ত বসুকে। তদন্তে জানা যায়, কারখানার বাতিল যন্ত্রাংশ বা অস্ত্র অর্থের বিনিময়ে পাচারকারীদের হাতে তুলে দিত সুখদা ও সুশান্ত।

তদন্তকারীদের দাবি, ওই দুই অফিসার সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করে লাভবান হয়েছিল। সে কারণেই তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মূল মামলার পাশাপাশি দুর্নীতির ধারা যুক্ত করার আবেদন করা হয় আদালতে। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন। তদন্তকারীরা জানান, সুখদা ও সুশান্ত সাধারণ কর্মী হিসেবে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি ইছাপুর অস্ত্র কারখানায় যোগ দেয়। পরে উন্নীত হয় অফিসার পদে। অফিসার হওয়ার জন্য কারখানার ভিতরে সর্বত্র ছিল তাদের অবাধ গতিবিধি। সেই সুযোগেই গত এক দশক ধরে তারা বাতিল অস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ টাকার বিনিময়ে পাচারকারীদের হাতে তুলে দিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rifle Factory Ishapore Arms Trafficking Ishapur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE