আশাপূরণ করলেন না শাহ। — ফাইল চিত্র।
অনেক আশা ছিল। কিন্তু তা ভেঙে গেল রাজ্য বিজেপির। পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তিনি যেমন একটিও কথা বললেন না, তেমনই মুখে আনলেন না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকরের প্রসঙ্গও। আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সভায় বেশি করে শোনা গেল হিন্দুত্বের কথা। তবে কি আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ নিয়ে সরব হতে চাইছে না বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার? এমন প্রশ্ন তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপির অন্দরে।
এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের সময়েই শাহ জানিয়েছিলেন, করোনা মোকাবিলা পর্ব মিটে গেলেই নতুন আইন কার্যকরের চিন্তাভাবনা রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে যাওয়ার পরেও এ নিয়ে কোনও উদ্যোগই নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তার জন্য এখন বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে পরিচিত মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আইন হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরেও সিএএ প্রয়োগ কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে বাংলার বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের কোথাও কোথাও প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। গত ২৯ মার্চ শাহের সঙ্গে দেখা করে এই প্রসঙ্গ তোলেন বাংলার বিজেপি সাংসদেরা। সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বার বার অবিলম্বে সিএএ চালুর কথা বলছেন। বিজেপি সূত্রে জানা যায়, মার্চের সাক্ষাতে শাহি-আশ্বাসবাণী পেয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, শাহ সাংসদদের বলেছিলেন, ‘‘আরও ১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, তার পর দেখুন কী হয়।’’ সেই সময় পার হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার কি তা নিয়ে কিছু বলবেন শাহ? এমন প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে আশাও তৈরি হয়েছিল রাজ্য নেতাদের। কিন্তু সে আশা পূরণ করলেন না শাহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy