Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অর্পিতার কর্মিসভায় তাঁর পাশে দাঁড়ালেন ‘বন্ধু’ ব্রাত্য

শুধু নাট্যব্যক্তিত্ব নন, দক্ষ সংগঠক। নন্দীগ্রামের ঘটনার পর তিনি সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। এ ভাবেই দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের রাজনৈতিক পরিচয় কর্মীদের জানালেন আর এক নাট্যকর্মী, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

কুমারগঞ্জের কর্মিসভায় তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছবি: অমিত মোহান্ত।

কুমারগঞ্জের কর্মিসভায় তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছবি: অমিত মোহান্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুমারগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৪ ০২:২০
Share: Save:

শুধু নাট্যব্যক্তিত্ব নন, দক্ষ সংগঠক। নন্দীগ্রামের ঘটনার পর তিনি সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। এ ভাবেই দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের রাজনৈতিক পরিচয় কর্মীদের জানালেন আর এক নাট্যকর্মী, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার জেলার কুমারগঞ্জের গোপালগঞ্জ এবং পতিরামে অর্পিতার সমর্থনে দুটি কর্মিসভায় শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

প্রার্থী হিসেবে অর্পিতার গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে ব্রাত্য তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতার নানা দিক তুলে ধরলেও, অর্পিতা নিজে সে সব শোনার সুযোগ পাননি। গোপালগঞ্জ এবং পতিরামের দুই কর্মিসভাতেই ব্রাত্যর বক্তব্য শুরু হওয়ার আগেই তাঁকে অন্য সভায় চলে যেতে হয়েছে। ফলে তাঁর কর্মিসভায় কথা বলার জন্য শিক্ষামন্ত্রী বালুরঘাটে এলেও, অর্পিতা নিজে ব্রাত্যের কথা শুনে উঠতে পারেননি। ব্রাত্য অবশ্য একটি সভায় অর্পিতার বক্তৃতা শুনেছেন। মঞ্চে পাশাপাশি বসে দু’জনে মাঝেমাঝে কথা বলেছেন। তবে আগে-পরে কথা বলার সুযোগ হয়নি তাঁদের। অর্পিতা সভা থেকে সভায় যাচ্ছিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের গাড়িতে। আর ব্রাত্য তাঁর নিজের গাড়িতে।

প্রার্থী ঘোষণার পরে জেলায় এসে কুমারগঞ্জেরই প্রথম কর্মিসভাতেই দলের এক সমর্থকের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। ভিড়ে ঠাসা কর্মিসভায় এক কর্মী জানতে চান, “অর্পিতা ঘোষের রাজনৈতিক পরিচয় কী?” তারপরে দলের জেলা কমিটির সভাতেও অর্পিতাকে শুনতে হয়, “ভোটের পরে জেলায় থাকবেন তো?” বাড়তি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই সবের মোকাবিলায় কর্মিসভাতে অর্পিতার পাশে দাঁড়ালেন ব্রাত্য।

গোপালগঞ্জের কর্মিসভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অর্পিতা ঘোষ শুধু নাট্যকার, সংস্কৃতি জগতের কেউ, বা কেবল গান গাইতে পারেন তাই নয়। অর্পিতা মানুষকে সংগঠিত করতে পারেন। নন্দীগ্রামের সময় অর্পিতাকে সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন করতে দেখেছি।” পতিরাম কলেজে শিক্ষামন্ত্রী পৌঁছোনোর আগে প্রার্থী অর্পিতার ভাষণ শেষ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ মঞ্চে একসঙ্গে থাকার পর অর্পিতা কুশমন্ডির সভায় যোগ দিতে চলে যান। মঞ্চে পূর্তমন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী এবং বিধায়কদের সামনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বক্তব্য রাখেন। দলের প্রার্থী যে রাজনীতিতে একেবারে অনভিজ্ঞ নন, তা বোঝাতে বাম আমলে ওঁর ‘পশুখামার’ নাটক বন্ধ করে দেওয়া, এবং পরবর্তী পর্যায়ে একসঙ্গে আন্দোলন গড়ে প্রতিবাদ করার ঘটনাও তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী।

গোপালগঞ্জের সভায় অর্পিতা বলেন, “ব্রাত্য আমার বন্ধু। বাম আমলে প্রতিবাদের দিনগুলিতে আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করেছি।” এর পর পতিরামের সভায় ব্রাত্য বলেন, “বোদলেয়ার বলেছিলেন, বন্ধুত্ব এমন একটা শব্দ যার অর্থ আজ অবধি বুঝতে পারিনি।” এরপর তিনি বলেন, ওই মত পাশ্চাত্যের। প্রাচ্য মত হল, রাজদ্বার থেকে শ্মশান, বন্ধু সেই যে সর্বত্র থাকে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “সিঙ্গুরে নন্দীগ্রামে আমি অর্পিতার সঙ্গে ছিলাম। আজ সাংসদ হওয়ার সময়ে পাশে থাকব না তা হতে পারে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE