হাটের জায়গার কর্তৃত্ব নিয়ে কাপড় ব্যবসায়ীদের একাংশের সঙ্গে চাষিদের গোলমালে উত্তেজনা ছড়িয়েছে কোচবিহারের বাণেশ্বরে। ঘটনায় রাজু সরকার নামে এক কৃষক জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। পরিস্থিতির জেরে এদিন অঘোষিত বন্ধের চেহারা নেয় বাণেশ্বর বাজার। পরে কৃষকদের তরফেও বন্ধের ডাক দিয়ে মাইকে প্রচার করা হয়। পুলিশ ও তৃণমূল নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি সামলান। সমস্যা মেটাতে আজ, সোমবার কোচবিহারে বৈঠক করবেন নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির চেয়ারম্যান তথা সদর মহকুমা শাসক বিকাশ সাহা। তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আজ, সোমবার বৈঠক হবে।”
বাণেশ্বর বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির আওতাধীন টিনের চাল দেওয়া বেশ কিছু শেড রয়েছে। তার মধ্যে একটি শেডঘরে দীর্ঘকাল ধরে সাপ্তাহিক হাটের দিন সকাল থেকে পর্যায়ক্রমে সব্জি, পান, ধান বিক্রেতারা পসরা নিয়ে বসেন। বিকেল থেকে কাপড় ব্যবসায়ীরা ওই শেডে ব্যবসা করেন। সম্প্রতি বিকেলের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় হলেও সকালে তা ঠিকঠাক মিলছে না বলে অভিযোগ ওঠে। তার জেরেই ওই শেডঘরের জায়গা ৭০০ টাকা প্রতি বর্গফুট হিসাবে ২১ কাপড় ব্যবসায়ীকে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতি। অনেকে টাকা জমা দেন। রবিবার সকালে শেডঘরে পসরা নিয়ে বসেন কাপড় ব্যবসায়ীরা।
সব্জি ব্যবসায়ী, কৃষকরা পণ্য সামগ্রী নিয়ে সেখানে বসতে চাইলে দুই পক্ষের বাদানুবাদ থেকে উত্তেজনা ছড়ায়। শুরু হয় মারপিট। কোচবিহার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ব্যবসায়ী কৃষক রাজু সরকার বলেন, “আচমকা সকালে কাপড় ব্যবসায়ীরা ওই শেডে আসেন। আমাদের মতো সাধারণ কৃষকরা সব্জি বিক্রি করতে বসতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়। আমাকে পেটানো হয়।” বাণেশ্বর বাজার কাপড় ব্যবসায়ী সমিতির তরফে পঙ্কজ রায় পাল্টা বলেন, “আমাদের লোকেরা মারধর করেনি। এক কৃষক কাপড়ের পসরা ফেলে দেওয়ায় ধাক্কাধাক্কি হয়।”
তৃণমূল নেতারা বাণেশ্বরে যান। কোচবিহার ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি পরিমল বর্মন বলেন, “আমরা হাটের ওই শেডঘর খোলা রাখার পক্ষে। কাপড় ব্যবসায়ীদের অন্যত্র স্থায়ী স্টলের জমি দেওয়া যেতেই পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy