কেন্দ্রীয় সরকার জনধন যোজনা চালুর মাধ্যমে নিয়মাবলী সরল করে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে ব্যাঙ্কমূখী করতে চাইছে। অথচ উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চ্যাংমারি শাখায় নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে বা এটিএমের আবেদন করতে গেলেই গ্রাহকদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করলে ব্যাঙ্কের কর্মী আধিকারিকদের একাংশ দুর্ব্যবহার করছে বলেও জানিয়েছেন বাসিন্দারা। সম্প্রতি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ও ডিভিশনাল ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা শুভ্রজিত্ পাল বলেন, “আমি এটিএমের জন্য আবেদন করতে গেলে কয়েকদিন ফর্ম নেই বলে ঘোরানো হয়। এর পর ফর্ম বাইরে থেকে দাম দিয়ে কিনে আনতে হয়। আবেদন জানানোর এক মাস পরেও এটিএম কার্ড হাতে পাইনি। এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে গেলে আমার সাথে রীতিমত খারাপ ব্যবহার করা হয়।”
শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কের এই শাখায় পরিষেবা নিতে গিয়ে নিয়মিত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। বারবার দাবি জানিয়েও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। চ্যাংমারি গ্রামের নিতাই দে, অবিনাশ বিশ্বাস, অতুল দেবনাথরা বলেন, পরিষেবা সঠিক ভাবে পাওয়ার জন্য সর্বত্র দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে। দ্রুত দাবি পূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। এলাকার তৃণমূল যুব নেতা জয়ন্ত কার্জি বলেন, “চ্যাংমারি গ্রামে এই একটি মাত্র ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল কুমারগ্রাম ব্লকের প্রায় এক লক্ষ মানুষ। স্বনির্ভর গোষ্ঠী, ছাত্র ছাত্রী ও তিনটি চা বাগানের শ্রমিক ও পেনশনভোগীরাও এই ব্যাঙ্কের উপর নির্ভরশীল। সাধারন মানুষ দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হবেন এটা মেনে নেওয়া যায়না। এর আগেও একশো দিনের কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন। আমরা আন্দোলনে নেমে এর প্রতিবাদ করি।” ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সুনীল পন্ডিত অবশ্য দাবি করেছেন,এই অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন, “এটিএমের ফর্ম না থাকার জন্য জেরক্স করে নিতে হচ্ছিল। আমরা যতটা সম্ভব ভাল ব্যবহার করি ও সঠিক পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।” কুমারগ্রামের বিডিও শিলাদিত্য চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে দ্রুত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy