সরকারি অনুষ্ঠানে কেন রাজনৈতিক বক্তৃতা দিচ্ছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, সেই প্রশ্ন তুলে মঞ্চ থেকে নেমে গেলেন বিরোধী দলের বিধায়ক এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি। রবিবার বিকেলে বানারহাটে চা এবং আদিবাসী উত্সবের মঞ্চে এমনই ঘটেছে।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হিসেবে। সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চকে দলীয় মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ ছাড়াও সৌরভবাবু মঞ্চে বসে বিরোধী দলের কোনও জনপ্রতিনিধিকে সম্বোধন না করায় সৌজন্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি নূরজাহান বেগম ও ধূপগুড়ির বিধায়ক মমতা রায়।
রবিবার অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে বানারহাট ফুটবল মাঠে তিন দিনের টি এন্ড ট্রাইবেল অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। মঞ্চে ছিলেন ধূপগুড়ির বিধায়ক ও জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতিও। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক বক্তৃতা করার পর বলতে শুরু করেন সৌরভবাবু। মঞ্চের আসনে বসা সকলের নাম ধরে সম্বোধন করলেও তিনি সিপিএম দলের জনপ্রতিনিধিদের নাম উচ্চারণ করেননি বলে বিধায়ক এবং সভাধিপতির অভিযোগ। বক্তব্যে তিনি ‘মা-মাটি মানুষের সরকারে’র নানা প্রশংসা করেন। বাম আমলে চা বাগানে কয়েক হাজার মানুষ অনাহার অপুষ্টিতে মারা গিয়েছে বলেও দাবি করেন। বর্তমান সরকারের প্রশংসা শুরু করেন। বক্তব্য চলাকালীনই মঞ্চ থেকে নেমে সভাধিপতি এবং বিধায়ক সভাস্থল ছেড়ে রওনা দেন বলে জানা গিয়েছে।