রমজান মাসের প্রথম দু’ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তেল ও চিনি মিলছে না কোচবিহারের রেশন দোকানগুলিতে। ময়দা এবং ছোলা দেওয়া হলেও তা বরাদ্দের তুলনায় কম। অভিযোগ, সকাল থেকে রেশন দোকানের লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত চাহিদা-মাফিক জিনিসপত্র না নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। তাই ক্ষোভ বাড়ছে।
খবর গিয়েছে রাজ্য খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত মঙ্গলবার তিনি শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। মন্ত্রী রেশন বণ্টনে ক্ষেত্রে ‘ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ’-এর দাওয়াই দেন। সেই মতো জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রেশন ডিলারদের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন আধিকারিকরা। খাদ্য সরবরাহ দফতরের জেলা আধিকারিক মানিক সরকার বলেন, “আগামী সপ্তাহ থেকে রেশনে চিনি ও তেল দেওয়া শুরু হবে। ময়দা, ছোলা দেওয়া হচ্ছে। যেমন বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে সে হিসেবেই বিলি করা হচ্ছে।”
দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রমজান মাসে কোচবিহার জেলার জন্যে ২২৫০ কুইন্টাল চিনি এবং ৩ লক্ষ ১০ হাজার লিটার সরষের তেল বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু ওই পরিমাণ চিনি দিয়ে যে সবাইকে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না তা দফতরের কর্তারাই স্বীকার করছেন। তাঁরা জানান, জেলায় যে পরিমাণ গ্রাহক রয়েছে তাতে চিনির প্রয়োজন প্রায় সাড়ে সাত হাজার কুইন্টাল। সেখানে মাত্র ২২৫০ কুইন্টাল চিনি দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন। এ ছাড়া রমজান মাসে চিনির চাহিদা বেশি থাকে। বাজারে যেখানে চিনির দর ৪০ টাকা কেজি, সেখানে রেশনে ২৬ টাকা কেজি দরে চিনি দেওয়া হচ্ছে। তাই গ্রাহকদের চিনির চাহিদা কিভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় তাঁরা।