অতীতের মাটিগাড়ায় হাটের জায়গা ছিল বিশাল। প্রায় ২০০ বিঘা। অনেক এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসত হাট। জেলা প্রশাসনের আওতায় ছিল ওই হাট। বহুবার পঞ্চায়েতের হাতে হাটের রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। চিঠি চালাচালি হয়েছে। কিন্তু, জেলা প্রশাসনের হাতেই রয়ে গিয়েছে হাটের যাবতীয় দায়িত্ব। তবে সরকারি তরফে অফিসার-কর্মীদের ঢিলেঢালা নজরদারির সুযোগে হাটের জমি দখল হয়েছে। এখনও জমি দখল চলছে বলে অভিযোগ। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই সে কথা মানছেন। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে হিসেব করে দেখা গিয়েছে হাট বসছে মাত্র ১০ বিঘা এলাকায়। ইদানীং তা কমে তিন বিঘায় নেমেছে।
হাটের জমি তা হলে গেল কোথায়? জমি রয়েছে জমির জায়গাতেই। সেখানে যথেচ্ছ ঘরদোর তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, কংগ্রেস আমলে কংগ্রেসের নেতাদের একাংশের মদতে জমি দখল হয়েছে। বাম আমলে সিপিএমের কয়েকজন নেতা এলাকায় ছড়ি ঘোরাতেন। ওই নেতাদের অনুগামীরা নানা এলাকায় জমি দখল করেছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে জমি দখলের প্রবণতা কমে গিয়েছে?
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দাদের অনেকেই জানান, তৃণমূল ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে বছরখানেকের মাথায় মাটিগাড়ায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০০ একর জমি দখল মুক্ত করে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। তত্কালীন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন কড়া পদক্ষেপ করায় মাটিগাড়ায় জমির দালালদের দৌরাত্ম্য কমবে বলে আশা করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু, গত দেড় বছরের জমি সংক্রান্ত মামলার হিসেব বলছে, বরং জমি দখলের প্রবণতা বেড়েছে। ইদানীং মাটিগাড়ায় জমিজমার কারবারের দিকে শিলিগুড়ির কয়েকজন প্রভাবশালী নেতারও নজর পড়েছে বলে অভিযোগ। মাটিগাড়ায় বসবাসকারী একাধিক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর আশঙ্কা, অবিলম্বে সরকারি তরফে জমি-মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা না হলে আগামী দিনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।