নকশালবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া থেকে রোজ লোকাল বাসে শিলিগুড়ি আসার জন্য নির্ধারিত বাস স্টপে আসে ওরা। অনেকের সঙ্গেই পরিবারের লোকজন থাকেন। ওদের কেউ চোখে ঠিকমতো দেখতে পায় না, কেউ আবার হাঁটাচলা করতে পারে না। কারও শোনায় গলদ রয়েছে। কিছুটা মানসিক সমস্যা রয়েছে কারও। দশটা তরুণ তরুণীদের মতোই ওরা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটানোর জন্য প্রতিদিন স্কুলে যায়, পড়াশুনো করে। চেনার চেষ্টা করে অন্যদের মতো সমাজের চারদিকটা।
কিন্তু অনেক সময় বাসে উঠতে না দেওয়া, জোর করে নামিয়ে দেওয়া, ভাড়ায় ছাড় না দেওয়া, আলাদা আসন না রাখার মতো ঘটনায় জেরবার হতে হয় তাদের। শুধু বাস নয়, রেলের নির্ধারিত কামরা বা সরকারি দফতর, হাসপাতালে গিয়ে তাদের হেনস্থা হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। অথচ এহেন ‘জীবনে’র লড়াইয়ে সরকারি নিয়মে আইন মেনে অনেক কিছুই পাওয়ার কথা ওই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু, কিশোর বা তরুণীদের। যা দার্জিলিং জেলায় একেবারেই ঠিকঠাক মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাই এই বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের পরিবারের লোক, বাবা-মা সাংগঠনিক ভাবে সে সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা আদায় করার জন্য এ বার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ‘শিলিগুড়ি পেরেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ডিসাবেলড’ নামে ওই সংগঠন সম্প্রতি একটি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, দার্জিলিং জেলা-সহ গোটা উত্তরবঙ্গের ছবিটা এমনই। দক্ষিণবঙ্গের শহরগুলিতে সমস্যাটা অনেকটাই কম বলে এক দশকের বেশি পুরানো ওই সংগঠনটির সদস্যরা দাবি করেছেন।