পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বধূকে খুন করেছে বলে রাতেই পুলিশে খবর দিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। সকালে স্বামী-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান বধূর বাপের বাড়ির লোকজন। তার পরেও পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে না আসায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াই ঘণ্টা কড়িয়ালি-মালদহ রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার চাঁদপুর এলাকায়। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে। যথাযথ তদন্ত-সহ পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ায় দুপুর একটা নাগাদ অবরোধ ওঠে। দীর্ঘ ক্ষণ রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
চাঁচলের এসডিপিও কৌস্তভদীপ্ত আচার্য বলেন, “পণ না দেওয়ায় ওই বধূকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ তদন্ত করছে। কেন পুলিশ দেহ উদ্ধারে যেতে দেরি করল তা খতিয়ে দেখছি। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ জানায়, নিহত বধূর নাম সুরাতন বিবি (২৬)। হরিশ্চন্দ্রপুরের লতাশির বাসিন্দা সুরাতনের পাঁচ বছর আগে চাঁদপুরের বাসিন্দা শিস মহম্মদের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাঁদের দুই নাবালক ছেলে-মেয়েও রয়েছে। শিস চাষের কাজ করে। সুরাতনের বাবা মহম্মদ শাকিরের অভিযোগ, বাপের বাড়ি থেকে একটি মোটরবাইক ও টাকা নিয়ে আসার জন্য গত তিন মাস ধরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা সুরাতনের উপরে নির্যাতন চালাচ্ছিল। মোটরবাইক না পেলে শিস দ্বিতীয় বার বিয়ে করার হুমকিও দেয়। তা নিয়ে বচসার জেরেই শুক্রবার রাতে সুরাতনকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ।