দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে এ বার তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান জয়ন্ত মৌলিক। রবিবার শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে দলীয় কার্যালয়ে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা দেবী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা নেন। জয়ন্তবাবু দল ছাড়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা সিপিএম। তবে পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি জয়ন্তবাবুকে বহিষ্কারেরর কথা ঘোষণা করেন সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটির কার্যকরি সম্পাদক জীবেশ সরকার।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “প্রাক্তন বাম কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান জয়ন্তবাবু এবং তাঁর স্ত্রী একসঙ্গে দলে যোগ দিয়েছেন। ওই দম্পতি এক সঙ্গে দলে যোগ দেওয়ায় তাঁদের পক্ষে কাজ করতে সুবিধা হবে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাণিক দে এবং তাঁর সঙ্গে ৪০ জন দলে যোগ দেন।”
প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্র চালানোর অভিযোগ তুলেছেন জয়ন্তবাবু। এ দিন জয়ন্তবাবু বলেন, “দলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন অশোকবাবুর মতো নেতারা। দলে বাকি যাঁরা রয়েছেন সকলকে তাঁদের জয়গান গাইতে হবে। অথচ আমাদের মতো নেতাদের তাঁরা কখনই সম্মান দেবেন না। এটা দীর্ঘসময় চলতে পারে না।” জয়ন্তবাবুর ক্ষোভ, সিপিএম তাঁকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে অথচ দলের কাছ থেকে তিনি মর্যাদা পাননি। তা ছাড়া একনায়কতন্ত্র চলায় ওই নেতাদের কথা মেনে চলা ছাড়া উপায় থাকত না। তাতে দমবন্ধ করা, অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে কাটাতে হচ্ছিল। জেলা সিপিএম নেতৃত্ব তরুণ প্রজন্মকে সুযোগ দিতে চান না বলে অভিযোগ। বর্তমানে ওই সিপিএম নেতারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের সঙ্গে থেকে নিজেকে হতাশাগ্রস্ত করতে চান না জয়ন্তবাবু। তাঁর অভিযোগ, “সিপিএম জেলা নেতৃত্ব পার্টি অফিসে বসে কেবল দলবাজি করছেন। দলে থাকতে হলে অন্যদের সেটা মেনে নিয়ে চলতে হচ্ছে।”