Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

মালদহ টাউনে ব্যাগভর্তি কচ্ছপ উদ্ধার, ধৃত তিন

নজর এড়াতে কাপড়ের ব্যাগে করে কচ্ছপ পাচারের ছক কষা হয়েছিল। আরপিএফ ও জিআরপির নজর এড়িয়ে ট্রেন থেকে নামিয়েও নেওয়া হয়েছিল কচ্ছপ ভর্তি ব্যাগগুলি। তবে শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে মালদহ টাউন স্টেশন চত্বর থেকে প্রচুর পরিমানে কচ্ছপ-সহ ভিন রাজ্যের তিন কারবারীকে গ্রেফতার করলেন রেলওয়ে সুরাক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার কর্তারা। জেলায় এই প্রথম এত প্রচুর পরিমাণে কচ্ছপ উদ্ধার হল বলে দাবি তাঁদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:০৪
Share: Save:

নজর এড়াতে কাপড়ের ব্যাগে করে কচ্ছপ পাচারের ছক কষা হয়েছিল। আরপিএফ ও জিআরপির নজর এড়িয়ে ট্রেন থেকে নামিয়েও নেওয়া হয়েছিল কচ্ছপ ভর্তি ব্যাগগুলি। তবে শেষ পর্যন্ত শনিবার সকালে মালদহ টাউন স্টেশন চত্বর থেকে প্রচুর পরিমানে কচ্ছপ-সহ ভিন রাজ্যের তিন কারবারীকে গ্রেফতার করলেন রেলওয়ে সুরাক্ষা বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার কর্তারা। জেলায় এই প্রথম এত প্রচুর পরিমাণে কচ্ছপ উদ্ধার হল বলে দাবি তাঁদের।

পুলিশ জানায়, ধৃতরা হল মহেন্দ্র কুমার, অজয় কুমার ও সুরেশ কুমার। তাদের তিন জনেরই বাড়ি উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর জেলার ভাদরার পাকাদি গ্রামে। তাদের কাছ থেকে ৩৫টি ব্যাগে প্রায় হাজার খানেক কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। এ দিনই দুপুরে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ ও ধৃতদের বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর সহকারী কমিশনার অচিন্ত্যকুমার কুন্ডু বলেন, ‘‘এত পরিমাণ কচ্ছপ কখনও উদ্ধার হয়নি মালদহ স্টেশনে। পাচার না বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের প্রতাপগড় স্টেশন থেকে আনন্দবিহার এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরা থেকে ওঠে ওই তিন যুবক। কাপড় ও বাজার করার ৩৫টি ব্যাগে করে কচ্ছপগুলি মালদহে নিয়ে আসা হয়। প্রতিটি ব্যাগে ২৫-৩০টি করে কচ্ছপ ছিল। এক একটি কচ্ছপের ওজন ২৫০-৫০০ গ্রাম। রেলপুলিশ ও যাত্রীরা যাতে বুঝতে না পারে, সেই জন্য প্রথমে পাটের বস্তাতে ভরা হয় কচ্ছপগুলি। সেই বস্তাটি আবার কাপড় ও বাজারের ব্যাগে ভর্তি করা হয়। তারপরে জামা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।

এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ট্রেনটি মালদহে এসে পৌচ্ছায়। তার পরে স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ওই তিনকারবারী। সেই সময়ই গোয়েন্দা শাখার কর্তারা তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করেন কচ্ছপগুলি। প্রাথমিক জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তারা মালদহ আসে। টাকার বিনিময়ে তারা কচ্ছপ গুলি পাচার করছিল বলে জানিয়েছে। তবে বন দফতর ও আরপিএফ কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান, কচ্ছপগুলি বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tortoise
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE