Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জলপাইগুড়িতে ত্রাণ নিয়ে রোষ

টানা বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল৷ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় জলপাইগুড়ি সদর ও ধূপগুড়ি ব্লক৷ মালবাজার ও রাজগঞ্জ ব্লকের কিছু এলাকাও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে৷

হতাশা: প্লাবিত বাহেরচর এলাকা। নিজস্ব চিত্র

হতাশা: প্লাবিত বাহেরচর এলাকা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৭ ০১:৪২
Share: Save:

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকায়৷ অভিযোগ, বন্যা কবলিত অনেক এলাকাতেই পর্যাপ্ত ত্রাণের অভাব রয়েছে৷ জেলায় আরও ত্রাণ পাঠানোর আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাসকদলের নেতারা৷ যদিও জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ না থাকার অভিযোগ মানতে চাননি প্রশাসনের কর্তারা৷ এরই মধ্যে গত রবিবার মালবাজার ও বানারহাটে নদী-ঝোড়া থেকে দু’টি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷

টানা বৃষ্টির জেরে জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল৷ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় জলপাইগুড়ি সদর ও ধূপগুড়ি ব্লক৷ মালবাজার ও রাজগঞ্জ ব্লকের কিছু এলাকাও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে৷ কৃষিক্ষেত্রে কত ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব কষতে শুরু করেছে কৃষি দফতর৷ তবে জল নেমে যাওয়ায় ত্রাণ শিবিরের অনেক মানুষই বাড়ি ফিরে গিয়েছেন৷ প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, এখন প্রায় এক হাজার মানুষ ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন৷ যদিও বেসরকারি সূত্রে সংখ্যাটা কয়েক হাজার৷

পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, বোয়ালমারি নন্দনপুর এলাকায় তিস্তা নদীর বাঁধের চরের পরিস্থিতিও খানিকটা উন্নতি হয়েছে৷ সেখানে এনডিআরএফ ও বিএসএফের নজরদারি রয়েছে৷ জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও তাপসী সাহা জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, এই মুহুর্তে ২৫ জন এনডিআরএফ কর্মী সদর ব্লকে রয়েছেন৷ যাতে পরিস্থিতি কোথাও খারাপ হলে তা মোকাবিলা করা যায়৷

গত রবিবার মালবাজার থানার পশ্চিম লাটাগুড়িতে ন্যাওড়া নদী থেকে বুদ্ধদেব রায় (৪৩) নামের এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ রবিবার বানরহাট থানার তেলিপাড়া চা বাগানে একটি ঝোরার জল থেকে মাঝবয়সী অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে৷

বন্যা পরিস্থিতির বেশ কিছুটা উন্নতি হলেও ত্রাণ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ শুরু হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। জানান, জলপাইগুড়িতে ত্রাণ প্রয়োজনের তুলনায় কম৷ জেলায় যা ক্ষতি হয়েছে তাতে ত্রাণ আরও দরকার৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে আর্জি জানাবো৷’’ যদিও জেলাশাসক রচনা ভকত বলেন, ‘‘ত্রাণ নিয়ে কোথাও মানুষের মধ্যে অভিযোগ নেই৷ জেলার সব ব্লকেই পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে৷’’

নদীর জল কমতেই ময়নাগুড়ি ব্লকের খেমনপাড়া এলাকায় জলঢাকা নদীর ভাঙণ শুরু হয়েছে৷ এলাকার অনেক জমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Flood Relief Camp জলপাইগুড়ি
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE