বিএসএফ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি না নিয়েই হিলি সীমান্তের কাঁটাতারবিহীন দক্ষিণপাড়ায় ঢুকতে গিয়ে বাধা পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ বালুরঘাট থেকে দলের জেলা নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে যান দিলীপবাবু। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারহীন উন্মুক্ত গ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকায় ঢুকতেই তার গাড়ি আটকে দেন প্রহরারত জওয়ানরা। দলের জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার তাঁদের পরিচয় দিলেও জওয়ানরা সদরে ফোন করে কর্তৃপক্ষকে জানান। সেখান থেকে অনুমতি আসার আগেই অবশ্য দিলীপবাবু ফিরে যান। সেখান থেকে তিনি যান আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দেখতে।
রাজ্যস্তরের নেতাদের গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনায় বিজেপির জেলা নেতৃত্ব ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে ওই ঘটনায় রাজ্য সভাপতি নিজে কোনও মন্তব্য করেননি। বিজেপি নেতাদের একাংশের অভিযোগ, পাচারকারী লাইনম্যানের সঙ্গে জওয়ানদের একাংশের সম্পর্ক তাঁদের কাছে ধরা পড়ে যাওয়াতেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিএসএসের তরফে অবশ্য ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে।
এ দিন হিলি চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে দিলীপবাবু ওপারে বিজিবি এবং এপারের বিএসএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যা চলছে, তাতে আমরাও চিন্তিত। ওপার থেকে দুর্বৃত্তরা এপারে এসে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। হিলির অনেক জায়গা খোলামেলা। তাই বিএসএফ এবং পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় মানুষকেও সতর্ক নজর রাখতে হবে।’’
হিলি, কালিয়াগঞ্জ সহ রাজ্যের সীমান্ত এলাকা দিয়ে বেআইনিভাবে অস্ত্র, জাল নোট, ড্রাগের আদানপ্রদান চলছে বলেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে দলের জেলা নেতৃত্বকে থানা ঘেরাও করে আন্দোলনে নামার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ দিন দুপুরে জেলা বিজেপির তরফে রায়গঞ্জের বিধানমঞ্চে দিলীপবাবুকে নতুন বিধায়ক হিসেবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এরপর দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে একটি কর্মিসভা করেন তিনি। এখানেই দিলীপবাবু বলেন, ‘‘গত কয়েক মাসে উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে গোষ্ঠীসংঘর্ষ, খুন, চুরি, ছিনতাই, লুঠপাটের ঘটনাও ঘটে চলেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশে পুলিশ নিষ্ক্রিয়। সমাজবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে দলের জেলা নেতৃত্বকে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, করণদিঘি, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর, ইসলামপুর ও চোপড়া থানা ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছি।’’