প্রতীকী ছবি।
পুলিশ এবং দুষ্কৃতীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হল কোচবিহারের শীতলখুচি। বুধবার রাতের ঘটনা। রাত ১১টা নাগাদ পুলিশ এবং দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াইয়ে আতঙ্ক ছড়ায় শীতলখুচির পাঠানটুলি গ্রামে। পুলিশের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন দু’জন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে শীতলখুচি থানার পুলিশ স্থানীয় এক দুষ্কৃতী আজিজুল মি়ঞা ওরফে লাল মিঞাকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গুলিতে কেউ আহত না হলেও রাতের ঘুম উড়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজিজুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সীমান্তে চোরাচালান থেকে শুরু করে পুলিশের খাতায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার মামলাও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও আজিজুল এবং তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর গুলির লড়াইয়ে মহাবীর মিঞা নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। দীর্ঘ দিন ধরেই আজিজুলের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। বুধবার গোপন সূত্র মারফত তদন্তকারীরা খবর পান, আজিজুল তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে নিজের বাড়িতে এসেছেন। এই খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে। অভিযোগ, তাঁকে গ্রেফতার করতে যেতেই গুলি ছো়ড়া চালানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। তবে এই ঘটনায় উভয়পক্ষের কেউই গুলিবিদ্ধ হননি। পুলিশের দাবি, আজিজুলের স্ত্রী ও মেয়ের ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর হামলা চালানোয় এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন।
মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভর্মা বলেন, ‘‘আজিজুল মিঞার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই পুলিশ তাঁর বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছিল তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য। গতকাল গোপন সূত্রে খবর পায়, অভিযুক্ত বাড়িতে রয়েছেন। শীতলখুচি থানার পুলিশ বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চালায়। অভিযুক্ত পালিয়ে যান এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। পুলিশও তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হয়নি। পুলিশ বাহিনী অভিযুক্ত বাড়িতে অভিযান চালানোর সময় বাড়ির মহিলারা পুলিশের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। সেই ঘটনায় একজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনায় ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy