বৃষ্টিতে ঠান্ডা ভোট-হাওয়া

কারও মুখ রুমালে বাঁধা। কারও হাতে লাঠি। চেষ্টা করে কাউকে ঢেকে রাখতে হচ্ছে কোমরে গোঁজা বন্দুক। বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের দেখলে হইহই করে ছুটছিল ওঁরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আচমকা ঝড় ও বৃষ্টি পাল্টে দিল পুরো ছবিটা। কেউ আশ্রয় নিল দোকান ঘরে। কেউ মোটরবাইক নিয়ে পালিয়ে গেল আশ্রয়ের খোঁজে। আবার ছাতা হাতে অনেকেই ঢুকে পড়ল বিডিও অফিসে। কোচবিহার-১ নম্বর ব্লক থেকে শুরু করে দিনহাটা, মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জে এমন চিত্র ধরা পড়ল।

মাথাভভাঙা-১ নম্বর ব্লক অফিসের সামনে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষও থামিয়ে বৃষ্টি। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে জানান, এ দিন তাঁরা মাথাভাঙা, কোচবিহার-২, তুফানগঞ্জ এবং দিনহাটায় মনোনয়ন পত্র জমা দেন। তিনি বলেন, “বৃষ্টির মধ্যেও তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তার পরেও আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রার্থী দিয়েছি।”

এ দিন বৃষ্টির ঠিক আগে মাথাভাঙায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দুই পক্ষই মনোনয়পত্র দেওয়ার জন্য জমা হয়েছিল। ওই ঘটনায় দু’পক্ষের ১৫ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনার কিছু পরে বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের ব্লক অফিসে ঢুকতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের ব্লক অফিসে ঢুকতে বাধা দেয়। তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “আমরা কাউকে বাধা দেইনি। প্রত্যেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপির হামলায় আমাদের কয়েকজন জখম হন।”

মনোনয়নের প্রথম দিন থেকে তৃণমূল কর্মীরা দিনহাটা-১ নম্বর ব্লকে কাউকে ঢুকতে দেয়নি বলে বিজেপির অভিযোগ। এ দিন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমালের মধ্যে বিরোধীরা মনোনয়ন তুলে নিয়ে যায়। দিনহাটার বিজেপি নেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, “আকাশ খারাপ ছিল। বৃষ্টি তেমন হয়নি। তবে আজ কেউ বাধা দেয়নি। ব্লকে ঢুকে মনোনয়ন তুলেছি।”