Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
job fraud

এসপি অফিসের কর্মীর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মালদহে

একটি সমস্যায় পড়ে এসপি অফিসে গিয়েছিলেন জাহাঙ্গির। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় উত্তমের। চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামে জাহাঙ্গিরের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উত্তমের বিরুদ্ধে।

পুলিশ সুপারের অফিসের কর্মীর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।

পুলিশ সুপারের অফিসের কর্মীর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:২২
Share: Save:

জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বসেই রমরমিয়ে চলছে প্রতারণার ফাঁদ! চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক যুবকের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মালদহের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী উত্তম ঘোষের বিরুদ্ধে। জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত উত্তমের স্ত্রী লক্ষ্মী। অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। প্রতিক্রিয়া মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবের।

অভিযোগকারী যুবক জাহাঙ্গির আলি মালদার পুখুরিয়া থানার লোখরা এলাকার বাসিন্দা। ২০২২-এর জানুয়ারিতে গাড়ি সংক্রান্ত সমস্যার নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়েছিলেন জাহাঙ্গির। সেখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় উত্তমের। অভিযোগ, জাহাঙ্গিরকে চাকরির প্রস্তাব দেন উত্তম। সেই প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান ওই যুবক। জাহাঙ্গিরের দাবি, সাড়ে ৯ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কনস্টেবল পদে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় তাঁকে। অগ্রিম হিসাবে উত্তম নেন আড়াই লক্ষ টাকা। অগস্ট মাসের মধ্যে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উত্তম। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চান জাহাঙ্গির। নভেম্বরে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও সেই টাকা ফেরত দেননি উত্তম, অভিযোগ জাহাঙ্গিরের। তাই এ বার পাওনা টাকা ফেরত পেতে এবং অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন তিনি।

টাকা নেওয়ার বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত উত্তমের স্ত্রী লক্ষ্মী। তিনি বলেন, ‘‘জাহাঙ্গির আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তার পরই জানতে পারি যে টাকা নিয়েছে। টাকা যখন নিয়েছি তখন তা ফেরত দিতে হবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত টাইম নিয়েছি টাকা ফেরত দেওয়ার।’’ খোঁজ নেই অভিযুক্ত উত্তমের। পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

job fraud Police Superintendent
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE