বদলেছে নোট। কিন্তু নোটবন্দির দু’বছর পরেও কালিয়াচক-সহ মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকায় জাল নোটের কারবারের ছবিটা তেমন বদলায়নি। বিশেষত, কালিয়াচক আছে কালিয়াচকেই। যত দিন যাচ্ছে, অভিযোগ, দু’হাজারি জাল নোট তত নিখুঁত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কারবারিরা।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, নোটবন্দির পরে প্রথম দু’মাস কালিয়াচকে জালনোটের কারবার অনেকটাই থমকেছিল। জানা যায়, কারবারিদের অনেকেই হতাশ হয়ে অন্য কাজের খোঁজে পাড়িও দিয়েছিলেন ভিন রাজ্যে। কিন্তু দু’হাজারি নোট বাজারে পর্যাপ্ত হতেই কালিয়াচক ফের সেই পুরনো ছন্দে ফেরে বলে পুলিশ ও গোয়েন্দাদের অনেকের দাবি।
সূত্রের খবর, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারের পুরনো রুটই মালদহে এখনও চালু আছে। সঙ্গে আরও নতুন রুটেও শুরু হয়ে গিয়েছে কারবার। যদিও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ), বিএসএফ ও পুলিশের দাবি, তাঁদের যৌথ নজরদারিতে কারবার অনেকটাই কমেছে। জালনোট উদ্ধারের পরিসংখ্যানও অন্তত তেমনই। কিন্তু প্রশ্ন, এনআইএ, বিএসএফ ও পুলিশের নজরদারিকে ফাঁকি দিয়ে নতুন কোনও ছকে কারবার চলছেনা তো?