ছেলের বয়ানে দোষী সাব্যস্ত বাবা। — নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীকে খুনে স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। বুধবার এই রায় দিয়েছে মালদহ জেলা আদালত। ওই কাণ্ডে বাবা যখন মাকে খুন করেছিলেন, সেই সময়কার বিবরণ আদালতকে শুনিয়েছে ছয় বছরের ছেলে। ওই ঘটনায় আরও ১৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ১০ অগস্ট স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে মালদহের মানিকচকের যুবক দিলীপ রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, দিলীপের অন্য এক মহিলার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় স্ত্রী সুপ্রিয়া রায়কে মারধর এবং নির্যাতন করত সে। সেই ঘটনার জেরে ২০১৬ সালের ১০ অগস্ট গভীর রাতে শোয়ার ঘরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে দিলীপের বিরুদ্ধে। সুপ্রিয়ার বাপেরবাড়ি মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানা এলাকায়। এর পর সুপ্রিয়ার বাবা অভিনয় মণ্ডল মানিকচক থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে দিলীপ-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মালদহ জেলা আদালতে শুরু হয় মামলা।
প্রায় ৮ বছর ধরে চলে এই মামলার শুনানি। অবশেষে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দিলীপকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন, বধূ নির্যাতন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুন্ডু বলেন, ‘‘এই মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মোট ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তার মধ্যে ছয় বছরের পুত্রের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy