ফেসবুক কাণ্ডে ধৃতদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির জামিন অযোগ্য যে সমস্ত ধারায় অভিযোগ এনেছে, তা কতটা যুক্তিসঙ্গত বা আদৌ তাদের গ্রেফতার করা যায় কি না সেই প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাইকোর্টে।
বুধবার বালুরঘাটের ফেসবুক কাণ্ডে পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের সিঙ্গল বেঞ্চে। ওই মামলায় ধৃত বালুরঘাটের ব্যবসায়ী দেবজিত রায় এবং ব্যাঙ্ককর্মী অনুপম তরফদারের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য শুনানি চলাকালীন বিচারকের কাছে ওই বিষয়টি তুলে ধরেন। অভিযুক্ত জেলার তিন পুলিশ আধিকারিকের পক্ষের আইনজীবীরা বিচারপতির কাছে ফেসবুক পোস্টে অশালীন মন্তব্য করা হয়েছে বলে দাবি করে সেই নথি জমা দেন।
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক দেবাংশু বসাক আজ, বৃহস্পতিবার ফের মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করেন।
দুর্গাপুজোর চারদিন বালুরঘাটে বিকেল ৪টে থেকে পরদিন ভোর ৪টে পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা বাইক ও ছোটগাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল জেলা পুলিশ। সে সময় রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়ে ফেসবুকে নিজেদের বক্তব্য পোস্ট করে গ্রেফতার হন দেবজিত ও অনুপম। তিনদিন পুলিশ হেফাজতে কাটিয়ে তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। তাঁদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করা ছাড়াও ষড়যন্ত্র, উস্কানি দেওয়া ও গোলমাল বাধানোর চেষ্টার মতো একাধিক অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় পুলিশ মামলা দায়ের করে। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি আইনেও তাদের জড়ানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দেবজিত ও অনুপম। বুধবার ছিল শুনানির প্রথম দিন।