Advertisement
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩

নীল-হলুদে ভোলবদল হোম-স্টের

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলিপুরদুয়ারে শুরু হল ‘ব্লু-হোম স্টে’ প্রকল্প। প্রাথমিক ভাবে জেলার ১২টি হোম স্টে বেছে নিয়ে তাতে নীল-হলুদ রঙ করা হয়েছে।

রঙিন: নীল-হলুদ রঙে সেজেছে হোম-স্টে। মেন্দাবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

রঙিন: নীল-হলুদ রঙে সেজেছে হোম-স্টে। মেন্দাবাড়িতে। নিজস্ব চিত্র

নারায়ণ দে
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৭
Share: Save:

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলিপুরদুয়ারে শুরু হল ‘ব্লু-হোম স্টে’ প্রকল্প। প্রাথমিক ভাবে জেলার ১২টি হোম স্টে বেছে নিয়ে তাতে নীল-হলুদ রঙ করা হয়েছে। রান্নার সামগ্রী দেওয়া থেকে প্রচার, সবই করছে প্রশাসন। ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে। এইভাবে বিভিন্ন হোম স্টে-কে এক ছাতার তলায় এনে পর্যটনের প্রসারের চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।

জানা গিয়েছে, জেলায় নানা এলাকায় নিত্যনতুন হোম স্টে হচ্ছে। তবে গ্রামে বা জঙ্গলের পথে কোথায় হোম স্টে রয়েছে তা চট করে বোঝা মুশকিল হয়। সে জন্য হোম স্টে গুলিকে সহজে চিহ্নিত করতে নীল-হলুদ রং করানো হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক দেবীপ্রসাদ করণম বলেন, ‘‘পর্যায়ক্রমে সব কটি হোম স্টে ওই প্রকল্পের আওতায় আসবে।’’

মেন্দাবাড়িতে একবিঘা শালবনের মধ্যে অপু হাজারি, সঞ্জয় হাজারিরা হোম স্টে চালাচ্ছেন অনেক দিন ধরে। ফ্রেবুয়ারি মাসে জেলা প্রশাসনের তরফে তাদের হোম-স্টের ভোলবদলের দায়িত্ব নেয় জেলা প্রশাসন। হলুদ-নীল রঙে তাঁদের বাড়ির চেহারাই বদলে গিয়েছে বলে জানালেন তাঁরা। উপরন্তু, সামনে পর্যটকদের জন্য তৈরি হচ্ছে বসবার গোলঘর। দু’বছর আগে তাঁরা হোম-স্টে তৈরি করেছিলেন। তাঁদের কথায়, ‘‘কোনও প্রচার ছাড়াই দুবছরে প্রায় সাড়ে তিনলক্ষ টাকা আয় হয়েছে। সরকারি প্রচার পেলে ব্যবসা আরও বাড়বে।’’

এই প্রকল্পে যে সমস্ত হোম-স্টে মালিকের জমির কাগজ রয়েছে তাদের পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বাছা হয়েছে। প্রথমে সেখানে রং করা হয়েছে। তা ছাড়া বিছানার চাদার, বালিশের কভার, রান্নার সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। একেকটি হোম স্টের জন্য সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ টাকা এককালীন সাহায্য দিয়ে পর্যটকদের থাকার উপযুক্ত করানো হবে বলে জানান প্রকল্পের আলিপুরদুয়ার জেলার নোডাল অফিসার অভিরূপ বসু। সরকারি ভাবে হোম-স্টে মালিকদের আতিথেয়তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

শালকুমার, তুরতুরিখণ্ড, আঠাশ মাইল বস্তি, টোটোপাড়া মেন্দাবাড়ি এলাকায় বর্তমানে কাজ চলছে ওই প্রকল্পের। পর্যটন সংস্থার কর্তা বিপ্লব দে জানান, ‘‘প্রশাসন হোম-স্টে গুলির প্রচার করায় পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। আর প্রশাসনের সঙ্গে হোম-স্টেগুলি যুক্ত থাকায় পর্যটকদেরও হয়রানির আশঙ্কা কমবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE