মহম্মদ আসিফ। — ফাইল চিত্র
কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। অভিযুক্ত মহম্মদ আসিফের বাবা এবং মায়ের গলায় মিলেছে ফাঁসের দাগ। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, তাঁদের শ্বাসরোধ করেও খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীদের আরও সন্দেহ, ছেলে যে তাঁদের হত্যা করতে চলেছে তা মৃত্যুর পূর্বে বুঝতে পেরেছিলেন তার বাবা এবং মা। তাঁদের গলায় দাগের পাশাপাশি, শরীরেও ধস্তাধস্তির চিহ্ন মিলেছে।
আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছে আসিফ। তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু লাগাতার জেরা এবং পুনর্নির্মাণের পরেও কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডে যে অনেক রহস্যের পর্দাফাঁস এখনও হয়নি তা বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। সোমবারই পুলিশের হাতে এসেছে আসিফের বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। তা থেকে তদন্তকারীরা নতুন সূত্র পেয়েছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আসিফের বাবা এবং মায়ের গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। রয়েছে ধস্তাধস্তির চিহ্নও। অথচ লাগাতার জেরা এবং হত্যাকাণ্ডের পুনর্নির্মাণের সময়েও বাবা এবং মায়ের গলায় ফাঁস দেওয়ার কথা একবারের জন্যও উল্লেখ করেনি আসিফ। এমনকি তাঁদের দেহে আঘাতের কথাও সে এড়িয়ে গিয়েছে। যদিও বোন ও ঠাকুমার দেহের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তেমন কোনও দাগে উল্লেখ নেই।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তদন্তকারীরা মনে করছেন, গোটা হত্যাপর্বের নানা তথ্য এখনও পুলিশের কাছে লুকিয়ে রেখেছে আসিফ। জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, এ বার জেল হেফাজতেই পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। আগামী ১৭ জুলাই ফের তাকে আদালতে তোলা হবে। মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘আসিফ যা বলেছিল, আর যে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে এসেছে তার মধ্যে কিছু অসঙ্গতি আছে। বাবা ও মায়ের দেহে কিছু আঘাত আছে, তা ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে না। সেই ধন্ধ কাটিয়ে আমরা চার্জশিট দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy