ভ্রাম্যমাণ: এই শৌচাগারেরই উদ্বোধন করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
পুরভোটের মুখে রায়গঞ্জ শহরে ভ্রাম্যমাণ বায়ো শৌচাগার চালু করে বিতর্কের মুখে পড়লেন পুর কর্তৃপক্ষ।
আগামী ১৪ মে রায়গঞ্জ পুরসভার নির্বাচন। সোমবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজও শেষ হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার পুর কর্তৃপক্ষ শহরে তিনটি ভ্রাম্যমাণ বায়ো শৌচাগার চালু করেন।
কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের অভিযোগ, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল সরকারি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বাসিন্দাদের প্রভাবিত করতে ভ্রাম্যমাণ বায়ো শৌচাগার চালু করেছে। গত বছরের জুলাই মাসে তত্কালীন কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। সেই থেকে সরকারি নির্দেশে পুরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক থেন্ডুপ নামগিয়েল শেরপা।
মহকুমাশাসকের দাবি, জরুরি পরিষেবা যে কোনও সময়ে চালু করা যায়। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। পুরসভা সূত্রের খবর, রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় ও পুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ছাড়া শহরের আর কোথাও স্থায়ী সুলভ শৌচাগার নেই। দীর্ঘদিন ধরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা শহরের মোহনবাটি, বিদ্রোহীমোড়, সুপারমার্কেট, সুদর্শনপুর, দেবীনগর-সহ বিভিন্ন এলাকায় সুলভ শৌচাগার তৈরির দাবি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু জায়গার অভাবে সেই কাজ করা সম্ভব হয়নি।
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অপূর্ব পালের অভিযোগ, পুরসভা নির্বাচনের মুখে বাসিন্দাদের প্রভাবিত করে দলীয় প্রার্থীদের ভোট বাড়াতে তৃণমূল সরকারি ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে শহরে ভ্রাম্যমাণ বায়ো শৌচাগার চালু করেছে। তাঁদের দাবি, নির্বাচনের পর শহরে সেগুলির আর দেখা মিলবে না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্যের বক্তব্য, ‘‘বাসিন্দাদের স্বার্থে পুর কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই শহরে ভ্রাম্যমাণ বায়ো শৌচাগার চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy