Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ঘনঘন স্পিড ব্রেকার কেন, প্রশ্ন হবিবপুরে

রাজ্য সড়কে মাত্র ১৫০ মিটারের মধ্যে আটটি স্পিডব্রেকার বসানো নিয়ে মালদহের হবিবপুরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, খুবই নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে রাস্তার মাঝখানে ঢিবিগুলো তৈরি করা হয়েছে।

বিতর্ক: পরপর এমন স্পিড ব্রেকার নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

বিতর্ক: পরপর এমন স্পিড ব্রেকার নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৮
Share: Save:

রাজ্য সড়কে মাত্র ১৫০ মিটারের মধ্যে আটটি স্পিডব্রেকার বসানো নিয়ে মালদহের হবিবপুরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, খুবই নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে রাস্তার মাঝখানে ঢিবিগুলো তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো বসানোর পরপরই ভেঙে যাচ্ছে। আর, বাস মালিকদের পাল্টা দাবি, এত উঁচু উঁচু করে ঢিবিগুলো তৈরি হয়েছে যে, বাস চালাতে অসুবিধা হচ্ছে।

রাজ্য সড়কে এ ভাবে স্পিডব্রেকার দেওয়া যায় কি না, তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের এক কর্তার মতে, রাজ্য সড়কে যদি প্রয়োজন হয়, তা হলে স্পিডব্রেকার বসানো যায়। তবে তা ৪০ মিলিমিটারের চেয়ে উঁচু হবে না। কিন্তু এখানে তার চেয়ে অনেক উঁচু করা হয়েছে। পরপর তিনটি করে এমন উঁচু ঢিবি বসানো হয়েছে ৮টি জায়গায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডীর মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামে বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় স্কুল ছাত্রী কবিতা মণ্ডলের। দ্রুত গতিতে বাস চালানোর জন্যই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি করেন তাঁরা। ঘন্টা পাঁচেক রাজ্য সড়ক অবরোধও করেন গ্রামবাসীরা। একটি বাসে ভাঙচুরও করা হয়। এই রাস্তায় গাড়ির গতি কমানোর দাবিতে সরব হন তাঁরা। তারপরই প্রশাসনের উদ্যোগে ঘোষপাড়া ব্রিজ থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ মিটার রাস্তায় আটটি বড়ো বড়ো করে স্পিডব্রেকার বসানো হয়েছে।

কিন্তু এর ফলে দুর্ঘটনা আরও ঘটবে বলে দাবি স্থানীয়দের। গ্রামবাসীরা জানান, প্রশাসন দায়সারা ভাবে স্পিডব্রেকার বসিয়েছে। ফলে সাইকেল, ভ্যান, রিকশাচালকরাও সমস্যায় পড়েছেন। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ এবং হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে ওই রুটে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বেসরকারি বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। স্পিড বেকার বসানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাস মালিক সংগঠনগুলি।

মালদহ বাস ও নিমিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়শনের সদস্য কাজল রায় বলেন, ‘‘জাতীয় কিংবা রাজ্য সড়কে স্পিডব্রেকার বসানোর নিয়ম নেই। অথচ এখানে তা বসানো হয়েছে।’’ তিনি জানান, ওই এলাকার ফুটপাত বলে কিছু নেই। প্রশাসন সেই দিকে নজর না দিয়ে শুধু বাসকর্মীদের সমস্যায় ফেলছে। তাই বাধ্য হয়েই বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। হবিবপুরের বিডিও ফুর্বা দর্জি শেরপা জানান, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটি মেটানোর চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Speed Breaker Repeatedly Road
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE