উদ্ধারকার্য। নিজস্ব চিত্র
ঘিঞ্জি এলাকার মধ্যে তৈরি চার তলা বাড়িটিতে প্রতি বছর বর্ষাতেই দেওয়াল চুঁইয়ে জল ঢুকত। দার্জিলিং পুরসভার প্রাথমিক সমীক্ষাতেও ষাটের দশকে তৈরি বাড়িটিকে ‘বিপজ্জনক’ বলেও দাবি করা হয়েছিল। তার পরেও কোনও পদক্ষেপ হয়নি। সে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে পুরসভার ভূমিকা নিয়েও। পুরসভার দাবি, কেন বাড়ি ভাঙল, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি হয়েছে। তবে শুধু বিপজ্জনক বহুতল নয়, সরু গলির রাস্তা ক্রমাগত অপরিকল্পিত নির্মাণে ঘিঞ্জি হয়েছে। তার জেরে উদ্ধার কাজেও সমস্যা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে। দার্জিলিঙের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ধসের খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে যায়। দেরি না করে সেনা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও তলব করা হয়। তবে এলাকাটি এতটাই ঘিঞ্জি যে উদ্ধারকাজে খুব সমস্যা হচ্ছে।’’ জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রাথমিক কাজ সকলকে উদ্ধার করা। পরে বাড়ি ভাঙার কারণ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ হবে।’’
ধসে যাওয়া বাড়িটির তিন তলা পর্যন্ত কংক্রিটের। চতুর্থ তলটি কাঠের তৈরি। চার তলায় কোনও বাসিন্দা থাকতেন না বলে দাবি করা হয়েছে। বাড়ির তিন তলায় মোট তিনটি পরিবার ভাড়া থাকত বলে পুলিশ জানিয়েছে। দোতলায় থাকতেন গুলাম হোসেনের পরিবার। গুলামবাবুর ২১ বছরের মেয়ে সাবিতা খাতুন সন্তানসম্ভবা। তাঁদের সকলকেই প্রথমে উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার আধ ঘণ্টার মধ্যে গুলামবাবু তাঁর স্ত্রী দুই মেয়ে এক ছেলে এবং নাতনিকে উদ্ধার করা হয়। ছোট ছেলে মহম্মদ সালামকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এবং ৭ বছরের নাতনি ইবাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। গুলামবাবুর পূত্রবধূ উমে হাবিবা মারা গিয়েছেন। বাড়ির নীচ তলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন শাহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy