বইমেলায় বসে আঁকো। নিজস্ব চিত্র।
নোটের ধাক্কা সামলে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে কোচবিহার জেলা বইমেলায়। বিক্রিবাটা দেখে খুশি বিভিন্ন নামী প্রকাশনী সংস্থার কর্তারা। তাতেই উদ্বেগের মেঘ সরিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা। এবারের বইমেলার উদ্বোধক উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বইমেলা শুরুর আগে খানিকটা উদ্বেগ ছিল। তবে বইপ্রেমীরা আসছেন। মেলায় প্রতিদিন ভাল ভিড় হচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে শুভ লক্ষণ।”
বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সর্বানন্দ বর্মন বলেন, “প্রতিদিনই মেলা চত্বরে বইপ্রেমী মানুষ ও ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।” বইমেলা কমিটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, গতবার জেলা বইমেলায় প্রায় এক কোটি টাকার ব্যবসা হয়। সাধারণ বাসিন্দাদের জন্য ৩ টাকা টিকিট বিক্রি বাবদ আয় হয় প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এ বার ইতিমধ্যে ২৩ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। রবিবার তো বটেই হাতে রয়েছে সোমবারও। ওই দিনই বইমেলার শেষ দিন। লোকাল লাইব্রেরি অথরিটির সদস্য খোকন নাগ বলেন, “এখনও পর্যন্ত যা লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাতে সব হিসেব হলে টিকিট বিক্রির অঙ্ক বাড়বে বলেই আশা। এটা সত্যিই মেলার বড় প্রাপ্তি।”
কোচবিহার বইমেলার বিক্রিবাটায় খুশি নামী প্রকাশনী সংস্থার কর্তাদের অনেকেই। আনন্দ পাবলিশার্সের স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভালই সাড়া পাচ্ছি। সোয়াইপ মেশিন রয়েছে। নগদেও অনেকেই বই কিনছেন।”আনন্দ পাবলিশার্সের স্টলে কোন বইয়ের বেশি চাহিদা? বইপ্রেমীরা জানান, সমরেশ বসুর গোগোল সমগ্র, শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ রহস্য ছাড়াও ফেলুদা সমগ্র, দুঃসাহসী টিনটিনের বাড়তি আকর্ষণ রয়েছে। কলকাতার অন্য একটি প্রকাশনী সংস্থার প্রতিনিধি প্রভাত নাথ বলেন, “গতবারের মত এ বারেও একই রকম ব্যবসা হচ্ছে এখনও পর্যন্ত। আমাদের স্টলে বাংলার ডাকাত বইটির চাহিদা দারুণ।” অন্য এক প্রকাশনী সংস্থার জগদীশ বাগচি অবশ্য বলেন, “এখনও বিক্রি কিন্তু তেমন জমেনি।” সবাই মুখিয়ে, রবিবার ভিড় উপচে পড়বে। বাড়বে বিক্রিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy