শিক্ষকতার চাকরির প্রথম দিন। —নিজস্ব চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলার সাত চাকরিপ্রার্থী অবশেষে যোগ দিলেন স্কুলে। এঁদের চার জন ধূপগুড়ি এবং বানারহাট ব্লকের স্কুলে এবং তিন জন জলপাইগুড়ির স্কুলে শিক্ষকতার কাজে যোগ দিলেন মঙ্গলবার।
২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্র বিভ্রাটে অনেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে চলা ওই মামলায় গত ৬ সেপ্টেম্বর একটি রায় দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশে বলা হয়, ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩,৯২৯ জনকে চাকরিতে যোগদান করাতে হবে। সেই রায় মেনে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা থেকে সাত নতুন শিক্ষক চাকরিতে যোগ দিয়েছেন।
সোমবারই ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের কাজিপাড়া শিক্ষা নিকেতন সিএস প্রাথমিক স্কুলে যোগদান করেন নির্মল দাস ও বারঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়াগাড়ি ১ নং বিএফপি বিদ্যালয়ে যোগদান করেন সুমন সরকার। এ ছাড়াও আরও দু’জন গয়েরকাটা এবং ধূপগুড়ি সার্কেল স্কুলে যোগ দিয়েছেন। কাজিপাড়া শিক্ষা নিকেতন সিএস প্রাইমারি স্কুল এত দিন একাই সামলাচ্ছিলেন আব্দুল সাত্তার। স্কুলে নতুন শিক্ষক আসায় হাঁফ ছেড়েছেন তিনি।
পুজোর মুখে চাকরিতে যোগ দিতে পেরে খুশি সাত শিক্ষক। পাশাপাশি আনন্দিত সেই সমস্ত স্কুলের প্রধানশিক্ষক। কারণ, ওই সব স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল কম। বেশির ভাগ স্কুলে এক জন মাত্র শিক্ষক স্কুল চালাচ্ছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ভুলের কারণে যাঁরা বঞ্চিত হয়েছিলেন, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার সেই সাত জন হলেন রবিউল ইসলাম, নির্মল দাস, সুমন সরকার, সৌরভ হোসেন, সৌমিত্র অধিকারী, সুমিত্রা সাহা ও পূর্ণিমা মণ্ডল। কাজে যোগ দিয়ে তাঁদের মন্তব্য, এই নির্দেশের ফলে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।
যেমন সদ্য চাকরিতে যোগ দিয়ে নির্মল দাস বলেন, ‘‘আমরা দারুণ খুশি। পাঁচ বছর লড়াইয়ের পর ন্যায়বিচার পেয়েছি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আমাদের কাছের ভগবানের মতো।’’ ধূপগুড়ির স্কুলে চাকরি পাওয়া আর এক শিক্ষক সুমনের কথায়, ‘‘২০১৪ সালের টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় অনেকেই বঞ্চিত হয়েছিলেন। সেই বঞ্চিতদের মধ্যে আমরাও ছিলাম। তাই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। অবশেষে চাকরিতে যোগ দিতে পারলাম। পুজোর আগে চাকরিটা পেলাম। এটাই বড় পাওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy